যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি স্টিফেন ব্রেইয়ার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে কথা বলেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেই সময়ে তার কিছু নীতিমালার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ায় ফেডারেল বিচারকদের তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয়। ব্রেইয়ার মনে করেন, বিচারকদের রাজনৈতিক চাপের ঊর্ধ্বে উঠে আইনের সঠিক ব্যাখ্যা করা উচিত।
২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর গ্রহণ করা ব্রেইয়ার সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দেশের প্রত্যেক বিচারক অবশ্যই তাদের সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকেন। তবে এরপরেও তাদের বিতর্কিত মামলাগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনের সঠিক ব্যাখ্যা অনুসরণ করতে হবে, যদিও সেই ব্যাখ্যা সব সময় নির্ভুল নাও হতে পারে।
ব্রেইয়ারের এই মন্তব্যের কারণ হলো, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালত রায় দেওয়া শুরু করলে তার দল থেকে বিচারকদের তীব্র সমালোচনা করা হয়। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল দ্রুত নির্বাসন প্রক্রিয়া বন্ধের রায়।
ট্রাম্প এই রায়ের সঙ্গে জড়িত বিচারকের অভিশংসন দাবি করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এক বিরল বিবৃতিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার কথা বলেন।
বিচারপতি রবার্টস বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ে সংক্ষুব্ধ হলে, সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আপিল করার সুযোগ দেওয়া উচিত, কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিশংসনের হুমকি দেওয়া কোনো সমাধান নয়। ব্রেইয়ার রবার্টসের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি দেশের মানুষকে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
সাক্ষাৎকারে ব্রেইয়ারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, দেশের বিচার বিভাগ কোনো সাংবিধানিক সংকটের দিকে যাচ্ছে কিনা। উত্তরে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, বিচারকদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, আইন অনুসরণ করা।
বিচারপতি ব্রেইয়ারকে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ দেন। তিনি ২০২২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন বিচারপতি কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন