কোভিড-১৯ : পাঁচ বছর আগের সেই কঠিন দিনগুলো, যা আজও স্মৃতিতে জীবন্ত।
স্মৃতির পাতা ওল্টালে অনেক সময়েই যেন মনে হয়, এই তো সেদিনের কথা। কোভিড-১৯ অতিমারীর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও, সেই সময়টা যেন আজও চোখের সামনে ভাসে।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বিশ্বজুড়ে শুরু হওয়া লকডাউন, মানুষের জীবনে এনেছিল এক গভীর পরিবর্তন। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
কোভিডের স্মৃতিগুলো আজও অনেকের মনে গভীর ক্ষত হয়ে আছে। স্বজন হারানোর বেদনা, প্রিয়জনদের অসুস্থতা, কাজ হারানোর দুশ্চিন্তা – এসব ছিল সেই সময়ের নিত্যদিনের সঙ্গী।
হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, আর প্রিয়জনের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ না পাওয়া – এই কঠিন বাস্তবতার সাক্ষী থেকেছে দেশের মানুষ।
লকডাউনের কারণে সবকিছু থমকে গিয়েছিল। রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে গিয়েছিল, কলকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আর স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হয়েছিল, অনেকের রুটি-রুজির পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা গিয়েছিল, বাজারে ছিল অস্থিরতা।
তবে এই কঠিন সময়েও মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছিল। প্রতিবেশীরা মিলে খাদ্য বিতরণ করেছেন, অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন সমাজের বিত্তবানরা।
অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছিল, মানুষজন ঘরবন্দী থেকেও একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।
আজ যখন আমরা পেছনে ফিরে তাকাই, তখন মনে হয় যেন কত কিছুই না ঘটে গেল! একদিকে যেমন মনে হয়, এই তো সেদিন, আবার অনেক সময় মনে হয়, যেন কত যুগ আগের কথা।
এই অতিমারী আমাদের অনেক প্রিয়জন কেড়ে নিয়েছে, অনেক স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে, আর আমাদের জীবনযাত্রায় এনেছে এক গভীর পরিবর্তন।
কোভিড-১৯ আমাদের শিখিয়েছে, জীবন কত অনিশ্চিত, আর মানুষ হিসেবে আমরা কতটা অসহায়। একইসঙ্গে, এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা নিজেদের ভেতরের শক্তি, সহানুভূতির পরিচয় দিয়েছি।
আসুন, আমরা সেই কঠিন দিনগুলোর কথা স্মরণ করি, যারা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি, আর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হই।
তথ্য সূত্র: The Guardian