পোষা প্রাণীর জীবনকাল বাড়াতে বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা।
বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে তাদের পোষা প্রাণীগুলোর জীবনকাল বাড়ানোর আগ্রহ বাড়ছে। উন্নত প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ফলে এখন বিজ্ঞানীরা পোষা প্রাণীদের স্বাস্থ্য এবং আয়ু বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন উপায় নিয়ে কাজ করছেন।
সম্প্রতি বায়োটেক কোম্পানিগুলো (biotech companies) কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণীর জীবনকাল বাড়ানোর জন্য ওষুধ এবং চিকিৎসার পদ্ধতি তৈরি করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোষা প্রাণীদের জীবনকাল বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এর মধ্যে রয়েছে, আইজিএফ-১ (IGF-1) নামক হরমোনের উৎপাদন কমানো এবং র্যাপামাইসিন (rapamycin) এর মতো ঔষধের ব্যবহার।
এছাড়াও, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেও তাদের স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা চলছে। উদাহরণস্বরূপ, গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যালোরি কমিয়ে ল্যাব্রাডর (Labrador) জাতের কুকুরের জীবনকাল ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।
তবে, এই ধরনের গবেষণা এবং চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু নৈতিক প্রশ্নও সামনে আসছে। পোষা প্রাণীর জীবনকাল বাড়ানো হলে, এর সুবিধাভোগী আসলে কে? প্রাণী নিজে নাকি তার মালিক?
উন্নত চিকিৎসার ফলে তাদের জীবনকাল বাড়লেও, স্বাস্থ্যকর জীবন কতটা নিশ্চিত করা যাবে, সেই বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি পোষা প্রাণীর মৌলিক যত্ন নেওয়াটাও জরুরি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ভালোবাসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব।
বাংলাদেশেও এখন অনেক মানুষ তাদের পোষা প্রাণী সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন। তারা তাদের খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশে যদিও উন্নত চিকিৎসার সুযোগ এখনো সীমিত, তবে পশুচিকিৎসকদের পরামর্শ এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে পোষা প্রাণীদের স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব।
একটি সুষম খাদ্য তালিকা, নিয়মিত শারীরিক কসরত এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম তাদের সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া, পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।
পরিশেষে, পোষা প্রাণীর জীবনকাল বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা চলতেই থাকবে। তবে, তাদের ভালো রাখতে হলে উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি, তাদের প্রতি ভালোবাসা, যত্ন এবং সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian