যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে গেল প্রভাবশালী আইনজীবি সংস্থা জেনার অ্যান্ড ব্লক। এই আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের সঙ্গে তাদের কিছু ব্যবসায়িক সম্পর্ক সীমিত হয়ে আসবে।
আইনজীবীরা বলছেন, এই পদক্ষেপটি অসাংবিধানিক এবং এর মাধ্যমে তাদের আইনি কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জেনার অ্যান্ড ব্লক-এর বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের কারণ হিসেবে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ক তদন্তের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে দায়ী করা হচ্ছে। এই তদন্তের প্রধান ছিলেন বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুeller।
জেনার অ্যান্ড ব্লকের সঙ্গে সেই তদন্তের যোগসূত্র ছিল। এছাড়া, এই ফার্মের আইনজীবীরা অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আদালতে দায়ের করা মামলায় জেনার অ্যান্ড ব্লক জানিয়েছে, এই আদেশের কারণে তারা কর্পোরেট ক্লায়েন্ট হারাতে পারে, বিশেষ করে যারা সরকারি ঠিকাদার। তাদের আশঙ্কা, ফেডারেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের আইনজীবীদের দেখা করতে না দেওয়া হলে অথবা সরকারি ভবনগুলোতে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হলে, তা তাদের ব্যবসা এবং ক্লায়েন্টদের স্বার্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে।
এর আগে, একই ধরনের একটি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল ‘পারকিন্স কোই’ নামের আরেকটি আইন সংস্থা। আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
জেনার অ্যান্ড ব্লকের এই মামলায়ও একই আদালতের বিচারক শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের আইনি পেশায় গভীর প্রভাব ফেলছে। অনেক প্রভাবশালী আইন সংস্থা এখন এই ধরনের পদক্ষেপের কারণে উদ্বিগ্ন।
তবে, অনেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না, কারণ তারা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে তারাও ট্রাম্প প্রশাসনের নিশানায় পরিণত হতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ, একটি সংস্থা ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতা করেছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশেও আইনের শাসন এবং একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ, কোনো দেশের উন্নয়নে আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
তথ্য সূত্র: সিএনএন