মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যের একটি শহরে, পুলিশী গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছে একজন অটিস্টিক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে পোকাটেলো শহরে, যেখানে ১৭ বছর বয়সী ভিক্টর পেরেজ নামের এক কিশোরকে গুলি করে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পেরেজ অটিজম এবং সেরিব্রাল পালসি’তে আক্রান্ত ছিল। ঘটনার সময় তার হাতে একটি ছুরি ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, শনিবার (উল্লেখিত তারিখে) বিকেলে পুলিশ একটি পারিবারিক কল-এর ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কিশোরটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। নয়টি গুলি শরীরে লাগার পর পেরেজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
চিকিৎসকেরা তার মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
পেরেজের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের ছেলে কথা বলতে পারে না এবং তার শারীরিক কিছু সমস্যাও রয়েছে। ঘটনার সময় সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল না।
তারা আরও জানান, পুলিশের সঙ্গে পেরেজের এটাই প্রথম সাক্ষাৎ ছিল। ঘটনার পরে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা না করে, সরাসরি গুলি চালানো হলো।
ভুক্তভোগীর পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কিশোরীর বোন পুলিশকে চিৎকার করে বলতে থাকে যে তার ভাই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। কিন্তু ভিডিওতে তেমন কোনো কথা শোনা যায়নি।
পোকাটেলো শহরের পুলিশ প্রধান রজার শেই এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা ঘটনার তদন্ত করছেন এবং সকল তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার দ্রুততা এবং সশস্ত্র ব্যক্তির উপস্থিতির কারণে কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
এই ঘটনার পর, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে কিভাবে কথা বলতে হয় এবং তাদের প্রতি কিভাবে সংবেদনশীল হতে হয়, সে বিষয়ে পুলিশের আরও বেশি সচেতনতা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, পুলিশের কর্মকর্তাদের সবসময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিতে হয়। এক্ষেত্রে, কর্মকর্তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
তথ্য সূত্র: মার্কিন সংবাদ মাধ্যম