ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বাণিজ্য শুল্ক নীতি নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা যাচ্ছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি নির্ধারণের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বয়ং। তাঁর বাণিজ্য বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের মধ্যে ভিন্ন মত থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তিনিই চূড়ান্ত কথা বলেন। জানা গেছে, সম্প্রতি শুল্ক আরোপ এবং তা স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পেছনেও কাজ করেছে এই অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে এই বিষয়ে মুখ খুলতে। বাজারের অস্থিরতা কমাতে তিনি বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রাখছেন। অন্যদিকে, বাণিজ্য বিষয়ক কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত পিটার নাভারো, যিনি অতীতে বিভিন্ন সময় ট্রাম্পের বাণিজ্য বিষয়ক নীতির পক্ষে জোরালো সমর্থন জুগিয়েছেন, তিনিও এখনো পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তবে, অনেকের মতে, শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা সরে আসার কারণে নাভারোর প্রভাব কমেছে।
হোয়াইট হাউজের অভ্যন্তরে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের মধ্যে “ওয়াল স্ট্রিট” এবং “ট্রেড ওয়ারিয়র” নামে দুটি ভিন্ন পক্ষ রয়েছে। প্রথম দলে রয়েছেন স্কট বেসেন্ট ও কেভিন হ্যাসেটের মতো উপদেষ্টারা, যাদের বাজার-বান্ধব হিসেবে দেখা হয়। অন্যদিকে পিটার নাভারো এবং হাওয়ার্ড লু differentনকের মতো উপদেষ্টারা বাণিজ্য বিষয়ক কঠোর নীতি সমর্থন করেন। তবে, ট্রাম্পের নীতির ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট নিজেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বাণিজ্য নীতির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়ছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা শুল্কের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে, আগামী কয়েক মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ, জুলাই মাসের ৮ তারিখের মধ্যে শুল্ক স্থগিতের সময়সীমা শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে ট্রাম্প বাণিজ্য নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব।
তথ্য সূত্র: সিএনএন