এলোন মাস্ক, যিনি এক সময়ের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এর মালিক, বর্তমানে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক ধরনের শীতল সম্পর্ক বজায় রাখছেন। সম্প্রতি, তিনি এমন কিছু সাক্ষাৎকারে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন, যেখানে তার কাজের সমালোচনা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মাস্ক প্রায়শই ডানপন্থী মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথা বলছেন, যেখানে তার অর্জনের প্রশংসা করা হয়, কিন্তু তার বিতর্কিত মন্তব্য বা সরকারি কাজকর্ম নিয়ে তেমন প্রশ্ন করা হয় না।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে, যখন মাস্ক ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) কিনেছিলেন, তখন তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়া শুরু করেন। তিনি বিবিসি-র মতো বামপন্থী হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যমেও হাজির হয়েছিলেন।
তবে বর্তমানে তিনি সাধারণত এমন সব আলোচনা এড়িয়ে চলেন যেখানে তার কোনো বিষয়ে কঠিন সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়।
মাস্কের এই সাক্ষাৎকার-প্রবণতা পরিবর্তনের একটি বড় উদাহরণ হলো সিএনএন-এর প্রাক্তন অ্যাঙ্কর ডন লেমনের সঙ্গে কথোপকথন।
ডন লেমনের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মাস্ককে ‘এক্স’-এর ডান দিকে ঝুঁকে যাওয়া, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে মাস্ক সম্ভবত এই সাক্ষাৎকারে সন্তুষ্ট ছিলেন না।
এর ফলস্বরূপ, লেমনের ‘এক্স’-এ একটি নতুন শো শুরু করার পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।
লেমন পরে বলেছিলেন, “আমি অনেক বিশ্বনেতা, রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধীর সাক্ষাৎকার নিয়েছি, কিন্তু এলোন মাস্কের মতো এত স্পর্শকাতর বা সহজে আহত হন এমন কাউকে দেখিনি। তিনি কারও কাছে জবাবদিহি করতে অভ্যস্ত নন।”
গণমাধ্যমের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্ক বরাবরই কিছুটা কঠিন ছিল। তিনি একবার বলেছিলেন যে গণমাধ্যমের সঙ্গে তার “ভালোবাসা-ঘৃণা” সম্পর্ক রয়েছে, তবে ঘৃণার পাল্লাই ভারী।
সমালোচকদের মতে, মাস্ক তার ব্যবসার যোগাযোগ বিভাগেও কর্মী ছাঁটাই করেছেন, ফলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো লোকও কমে গেছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রায়ই উল্লেখ করা হয় যে মাস্ক বা তার প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেন না। ফলে, সংবাদকর্মীদের পক্ষে বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে যে মাস্কের মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়গুলো আসলে কে দেখাশোনা করেন – হোয়াইট হাউস, তার ব্যক্তিগত স্টাফ নাকি তিনি নিজেই?
তথ্য সূত্র: সিএনএন