যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত হচ্ছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, আলোচনার জন্য তাদের পক্ষ থেকে বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াটাই এখন জরুরি।
খবরে প্রকাশ, আগামী সোমবার সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। এরপর মঙ্গলবার তিনি ইউক্রেনের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিনিধিদের নিয়ে মার্কিন দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। ইউক্রেন প্রতিনিধি দলে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি আবাসিক ভবনে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যার ফলে আগুন ধরে যায়। উদ্ধারকর্মীরা আসার পরপরই রাশিয়া একই এলাকায় আরেকটি হামলা চালায়। এতে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৫ জন শিশুও ছিল। এছাড়া, খারকিভ অঞ্চলের একটি শহরে ড্রোন হামলায় ৩ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কুরস্ক অঞ্চলের ভিকতোরোভকা, নিকোলায়েভকা এবং স্টারায়া সরোচিনায় পুনরায় তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুজা শহরের কাছে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে রুশ বাহিনী।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, রাশিয়ার প্রতি নমনীয়তা দেখালে ইউক্রেনে আরও বেশি ট্র্যাজেডি ঘটবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ জানিয়েছেন, তার দেশ ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
এছাড়াও, রাশিয়ার অভ্যন্তরেও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির কিরিশি তেল শোধনাগারে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়, যার ফলে একটি জলাধারের ক্ষতি হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান