ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা: সাবেক অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টার্নবুলকে দুর্বল ও অযোগ্য আখ্যায়িত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মালকম টার্নবুলের নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প টার্নবুলকে একজন “দুর্বল ও অযোগ্য” নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, টার্নবুল সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন যে ট্রাম্পের বিশৃঙ্খল নেতৃত্ব চীনের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। টার্নবুলের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প এই পোস্টটি করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্প তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, টার্নবুল “অস্ট্রেলিয়াকে পিছন থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন” এবং চীনের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা ছিল না। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি সবসময়ই টার্নবুলকে দুর্বল ও অযোগ্য নেতা হিসেবে বিবেচনা করেছেন এবং “অবশ্যই, অস্ট্রেলিয়ার মানুষও আমার সঙ্গে একমত”।
সাক্ষাৎকারে টার্নবুল বলেছিলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ট্রাম্পের ঠিক বিপরীত হতে চাইবেন। ট্রাম্প যেখানে বিশৃঙ্খল, সেখানে শি হবেন ধারাবাহিক। ট্রাম্প যেখানে রুঢ় ও আক্রমণাত্মক, সেখানে শি হবেন শ্রদ্ধাশীল। টার্নবুলের মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলোতে ট্রাম্পের এই অস্থির আচরণ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য সুবিধাজনক হবে।
টার্নবুলের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করছেন, চীন এখন বিশ্ব দরবারে আরও আকর্ষণীয় অংশীদার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মালকম টার্নবুলের মধ্যে আগেও সম্পর্ক ভালো ছিল না। ২০১৭ সালে, যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া শরণার্থী বিনিময় চুক্তি নিয়ে তাঁদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছিল। এই চুক্তিটি নিয়ে ট্রাম্প এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে তিনি এটিকে একটি খারাপ চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এর ফলস্বরূপ তিনি নিজেকে “বোকা” মনে করতেন। তবে, বিভিন্ন সময়ে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও দেখা গেছে। টার্নবুল একবার বলেছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হলে, তিনি সবসময় প্রাক্তন ক্রিকেটার ক্যারি প্যাকার এর কথা উল্লেখ করতেন।
মালকম টার্নবুল ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে কোনো নির্বাচনে হারার কারণে নয়, বরং দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তাঁর দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী স্কট মরিসন পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান