যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দেশটির নাগরিক অধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
সম্প্রতি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বছর মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।
একইসাথে, বাণিজ্য নীতির কারণে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা গেছে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরেই, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিলে তার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়বে এবং এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর চাহিদা কমে যেতে পারে, সেই সাথে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সিভিকাস মনিটর’ নাগরিক অধিকারের অবনতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের পর্যবেক্ষণ তালিকায় যুক্ত করেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক স্বাধীনতা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।
এই তালিকায় যুক্ত হওয়া অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে কঙ্গো, ইতালি, পাকিস্তান ও সার্বিয়ার নামও রয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন দপ্তর (আইস)-এর প্রধান ক্রিস্টোফার নোল সম্প্রতি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এক সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
তিনি গণমাধ্যমে তথ্য ফাঁস হওয়া বন্ধ করতে কর্মকর্তাদের লাই ডিটেক্টর পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
একই সময়ে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনি এক ছাত্রনেতাকে আটকের ঘটনাও বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এসব ঘটনার বাইরে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ খেলার পেছনে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ের বিষয়টিও নতুন করে সামনে এসেছে।
জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে ট্রাম্পের গলফ খেলার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অন্যান্য খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, যা নিয়ে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে, জার্মানির একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন জানানোয় টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক বর্তমানে সমালোচিত হচ্ছেন।
মাস্কের এই সিদ্ধান্তের কারণে জার্মানির বাজারে টেসলার গাড়ির বিক্রি কমে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
নিউ ইয়র্কের মেয়র পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী হয়েছেন দেশটির সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
একইসঙ্গে, বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে আসতে পারেন ক্রীড়া সাংবাদিক স্টিফেন এ স্মিথ।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান