1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 13, 2025 11:16 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
কাপ্তাই সেনাজোন দুটি ত্রিপুরা পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দাওয়ায় আনন্দে মুগ্ধ পরিবারটি  মাদারীপুরে মসজিদে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাদারীপুর পৌর শাখার ২নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত শেষ মুহূর্তে বাজিমাত, বাস্কেটবলে অবিশ্বাস্য জয় পেল ইন্ডিয়ানা! স্কি জাম্পিংয়ে প্রতারণা! অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নসহ ২ তারকার সাসপেনশন মাঠে ফিরেই বাজিমাত! দামার হ্যামলিনের চুক্তিতে আবেগঘন মুহূর্ত! কোবি ব্রায়ান্টের মৃত্যুর পর বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের চোখে তাঁর অমূল্য শিক্ষা! আবারও দুঃসংবাদ! টাইগার উডস কি গলফ থেকে বিদায় নিচ্ছেন? আতলেটিকোকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কি রিয়ালের সাথে আর্সেনাল? যুদ্ধবিরতির আলোচনা: ট্রাম্পের কোন চালে কাবু হবেন পুতিন?

মুঞ্চের শহরে ভ্রমণের আকর্ষণ: কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, March 12, 2025,

অসলো: এডওয়ার্ড মুঙ্খের জীবন ও শিল্পের পথে

“চিৎকার” চিত্রের স্রষ্টা এডওয়ার্ড মুঙ্খের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাঁর শিল্পকর্ম শুধু নরওয়ে নয়, সারা বিশ্বজুড়ে পরিচিত। মুঙ্খের শিল্পকর্মের আকর্ষণ আজও এতটুকু কমেনি, বরং সময়ের সাথে সাথে তা আরও উজ্জ্বল হয়েছে।

সম্প্রতি, নরওয়ের রাজধানী অসলোতে মুঙ্খের জীবন ও শিল্পকর্মের স্মৃতিচিহ্নগুলো ঘুরে আসার সুযোগ হয়েছিল।

অসলো শহরটি যেন মুঙ্খের শিল্পকলার এক জীবন্ত প্রদর্শনী। এখানে, প্রকৃতির মাঝে মিশে আছে শিল্পীর জীবনের নানা গল্প।

এক শীতের সন্ধ্যায়, আমি শহরটির কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে, এক পাহাড়ের উপরে অবস্থিত ইকেবার্গ পার্কে গিয়েছিলাম। পড়ন্ত সূর্যের আলোয় চারপাশের দৃশ্য এক ভিন্ন রূপ ধারণ করেছিল।

দিগন্ত জুড়ে ছিল হালকা নীল আর ধূসর মেঘের খেলা, যা ধীরে ধীরে তামাকের মতো হালকা হলুদ আভায় পরিবর্তিত হচ্ছিল। অনেকটা যেন জলরঙে আঁকা কোনো ছবি।

এই পার্ক থেকেই মুঙ্খ “চিৎকার” চিত্রটির অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। ১৮৯২ সালে, এক সন্ধ্যায় তিনি এখানে প্রকৃতির মাঝে “এক বিশাল, অসীম চিৎকার” অনুভব করেছিলেন, যা তাঁর ডায়েরিতেও লিপিবদ্ধ রয়েছে।

মুঙ্খের কাজের প্রতি উৎসর্গীকৃত জাদুঘরটি (Munch Museum) অসলোর অন্যতম আকর্ষণ। আধুনিক স্থাপত্যের উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত হলো এই জাদুঘরটি।

এর ভেতরে, শিল্পীর অসংখ্য চিত্রকর্ম ও স্কেচ সংরক্ষিত আছে। এখানে “চিৎকার”-এর তিনটি ভিন্ন সংস্করণ প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়াও, “আউলা” চিত্রকর্মগুলির বিশাল সংগ্রহও এখানে দেখা যায়।

এই চিত্রগুলি অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলঘরের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

মুঙ্খের জীবন ও কাজের সঙ্গে পরিচিত হতে হলে, তাঁর বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্র ঘুরে আসা জরুরি।

অসলো থেকে ট্রেনের মাধ্যমে রাম্মে পৌঁছে, ট্যাক্সি নিয়ে শিল্পীর বাড়িতে যাওয়া যায়। এখানকার শান্ত পরিবেশ মুঙ্খের মানসিক শান্তির জন্য সহায়ক ছিল।

এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমুদ্রের গর্জন তাঁকে সবসময় মুগ্ধ করত।

অসলোর গ্রু’নারলক্কা অঞ্চলে মুঙ্খের পরিবারের বসবাস ছিল। এখানে, তাঁর পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত কয়েকটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই অঞ্চলের একটি বাড়িতে বসে তিনি তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্ম “অসুস্থ শিশু” তৈরি করেছিলেন।

মুঙ্খের শিল্পকর্ম শুধুমাত্র একটি চিত্রকর্ম বা একটি ঘটনার সমষ্টি নয়, বরং এটি মানবজীবনের গভীর উপলব্ধির প্রতিচ্ছবি।

তাঁর কাজ আমাদের আবেগ, মানসিক অবস্থা এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে নতুনভাবে অনুভব করতে শেখায়।

অসলো ভ্রমণকালে, আমি Our Saviour’s Cemetery-তে মুঙ্খের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম।

তাঁর সৃষ্টি আজও আমাদের আলোড়িত করে, আর তাঁর জীবন আমাদের জন্য এক গভীর অনুপ্রেরণা।

(এই ভ্রমণের বিস্তারিত খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে, ধরে নিতে পারেন হোটেল খরচ ছিল প্রায় ১,৬০০ ইউরোর মতো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সমান। এছাড়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ তো রয়েছেই।)

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT