বদলে যাওয়া ফ্যাশন: জেনারেশন গ্যাপে জিন্স, মিলিনিয়াল ও জেন-জির অভিজ্ঞতা
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বয়স যেন হাতের মুঠোয়। টিকটক ব্যবহার করলেই মিলিনিয়াল আর চুল মাঝখানে আঁচড়ানো মানেই জেন-জি। ফ্যাশনের এই বিভাজনটা এখন বেশ স্পষ্ট, বিশেষ করে জিন্সের ক্ষেত্রে। কম বয়সী প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লো-রাইজ, লম্বা হেমলাইনের ঢিলেঢালা জিন্স, সেখানে মিলিনিয়ালদের পছন্দ উঁচু কোমর ও পায়ের গোড়ালি দেখা যায় এমন জিন্স। সম্প্রতি, জিন্স নিয়ে দুই প্রজন্মের এই ফ্যাশন ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মিলিনিয়াল ও জেন-জির দুই নারীর জিন্স বিষয়ক অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। মরওয়েনা ফেরিয়ার নামের একজন মিলিনিয়াল এবং এমা লোফহাগেন নামের এক জেন-জি নারী একদিনের জন্য নিজেদের জিন্স অদল-বদল করেন। তাদের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মরওয়েনা ফেরিয়ার বলেন, “আমি সাধারণত এক ধরনের জিন্স পরিধান করি—উঁচু কোমর, পায়ের দিকটা একটু সরু এবং পায়ের গোড়ালি দেখা যায় এমন। এগুলোকে ব্যারেলেগ জিন্স বলা হয়। কোমরের কাছে হালকা চাপা, পায়ের দিকে কিছুটা ঢিলেঢালা এই জিন্সগুলো আমার বেশ পছন্দের।”
অন্যদিকে, এমা লোফহাগেন জানান, “আমার প্রজন্মের মানুষেরা সাধারণত মিডিয়াম-রাইজ এবং ব্যাগি জিন্স পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। জিন্স কেনার সময় আমি সাধারণত এক সাইজ বড় কিনি এবং বেল্ট ব্যবহার করি।”
মরওয়েনা আরও জানান, জেন-জির পছন্দের জিন্স পরে তিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন। অন্যদিকে, এমা মিলিনিয়ালের জিন্স পরে মনে করেছিলেন, এতে তাকে বয়স্ক দেখাচ্ছে।
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, জিন্সের এই বিভাজন আসলে রুচি ও পছন্দের ভিন্নতা। মিলিনিয়ালদের ফ্যাশনে আরামের চেয়ে স্টাইল বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অন্যদিকে, জেন-জি’রা স্বাচ্ছন্দ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
তবে, ফ্যাশন সবসময় পরিবর্তনশীল। একসময়কার জনপ্রিয় স্কিনি জিন্স আবারও ফ্যাশন দুনিয়ায় ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
জিন্স নিয়ে প্রজন্মের এই বিভাজন হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসবে। ফ্যাশনের এই দৌড়ে আরামকে প্রাধান্য দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান