1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 14, 2025 12:42 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
আতলেটিকো বিতর্ক: ভিএআর কি সমাধান নাকি উদ্বেগের কারণ? এলোন মাস্কের মন্তব্যে জীবননাশের হুমকি, কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী! স্বাস্থকর রুটি বানানোর সহজ উপায়: ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট বেকিং কিট! আলভারেজের পেনাল্টি নিয়ে বিতর্কের ঝড়, নিয়ম বদলের পথে উয়েফা! ফ্রাঙ্কি দেতোরির জীবনে মহা বিপর্যয়! দেউলিয়া হওয়ার ঘোষণা! আহা! গুয়াতেমালার এই শহরের খাবারে লুকিয়ে আছে কোন রহস্য? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র গরম: বাড়ছে মৃত্যু, এখনই সাবধান! ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত: সরকারি কর্মীদের অপসারণে কি ধ্বংসের খেলা? আতঙ্কে ডলার জেনারেল! কম আয়ের মানুষের জীবনে কি ভয়াবহ বিপদ? ফেসবুকে ফিরছে ফ্যাক্ট-চেকিং? মেটা’র নতুন চমক!

ফেসবুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা? স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় কমানোর দারুণ উপায়!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, March 13, 2025,

বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত, এই যন্ত্রটি আমাদের হাতেই থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিনোদন, কাজ, পড়াশোনা—সবকিছুই যেন এর মধ্যে বন্দী।

তবে অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে অনেক সময় মূল্যবান সময় নষ্ট হয়, যা আমাদের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়, কারণ তাদের মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তখনও সম্পূর্ণভাবে গঠিত হয় না। তাই আসুন, স্মার্টফোন ব্যবহারের আসক্তি কমাতে কিছু কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে জেনে নিই।

প্রথমেই, যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো আপনার বেশি সময় নষ্ট করে, সেগুলো ফোন থেকে সরিয়ে ফেলুন। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক-এর মতো অ্যাপগুলো আমাদের মনোযোগ কেড়ে নেয়। এগুলো ফোন থেকে মুছে ফেললে ব্যবহারের পরিমাণ কমে আসবে। তবে, অ্যাপ্লিকেশনগুলো আবার ডাউনলোড করার সম্ভাবনাও থাকে। তাই, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারের পরিকল্পনা করতে হবে।

স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো তাদের ডিভাইসে স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু বিল্ট-ইন কন্ট্রোল সরবরাহ করে। আইফোনে সেটিংস-এর মধ্যে ‘স্ক্রিন টাইম’ অপশনটি পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফোনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া যায়। যেমন, আপনি চাইলে রাত ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ফোন ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারেন। এছাড়াও, নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ বা অ্যাপের ক্যাটাগরি ব্যবহারের সময়সীমাও নির্ধারণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি মনে করেন ইন্সটাগ্রাম আপনাকে বেশি আকর্ষণ করে, তাহলে দৈনিক ব্যবহারের সময় ২০ মিনিটে সীমাবদ্ধ করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ‘ডিজিটাল ওয়েলবিইং’ সেটিংস ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে স্ক্রিন টাইমের হিসাব দেখা যায়। এছাড়াও, কাজের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকতে আলাদা প্রোফাইল তৈরি করারও সুযোগ রয়েছে।

ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে, কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন, আইফোনের ‘ফোকাস মোড’ ব্যবহার করে নোটিফিকেশন বন্ধ করে দেওয়া যায়। মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই মোড চালু করে মনোযোগ অটুট রাখা সম্ভব। অ্যান্ড্রয়েডেও একই ধরনের ‘ফোকাস মোড’ রয়েছে। এছাড়াও, ফোনের ডিসপ্লেকে রঙিন থেকে ধূসর করে রাখলে এর আকর্ষণ কিছুটা কমানো যেতে পারে। আইফোনে সেটিংস থেকে কালার ফিল্টার পরিবর্তন করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ‘বেডটাইম মোড’ বা কালার কারেকশন সেটিংস ব্যবহার করতে পারেন। রাস্তায় হাঁটার সময় ফোন ব্যবহারের প্রবণতা কমাতে অ্যান্ড্রয়েডের ‘হেডস আপ’ ফিচারটি চালু করা যেতে পারে।

বিল্ট-ইন কন্ট্রোল যথেষ্ট না হলে, থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। জেমো, ওপাল, ফরেস্ট, রুটস এবং লকমিআউট-এর মতো অ্যাপগুলো স্ক্রিন টাইম কমাতে সাহায্য করে। এই অ্যাপগুলোর ফ্রি এবং পেইড ভার্সন পাওয়া যায়। ওপাল-এর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক ব্লক করতে পারেন। যখনই আপনি ফেসবুক খুলতে চাইবেন, ওপাল আপনাকে কিছু অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেখাবে এবং কতবার চেষ্টা করেছেন, তার হিসাব রাখবে। ব্লকটি বাইপাস করতে, ওপাল খুলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। জেমো-এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অন্যান্য অ্যাপও সীমিত করতে পারেন।

কিছু স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ডিজিটাল ব্লকারের বদলে হার্ডওয়্যার সমাধানের দিকে ঝুঁকছেন। আনপ্লাক-এর মতো হলুদ ট্যাগ ব্যবহার করে ফোন আনলক করতে হয়, যা অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। ব্রিক ও ব্লক-এর মতো ডিভাইসগুলোও একই পদ্ধতিতে কাজ করে। এই ধরনের হার্ডওয়্যারগুলো হাতের কাছে না রাখলে, মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

যদি মনে করেন আপনার স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণ আরও গভীরে প্রোথিত, তাহলে একজন থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন। অনেক সময় উদ্বেগ, মানসিক চাপ, একাকিত্ব বা আত্ম-সম্মানের অভাবের কারণেও আমরা স্মার্টফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি। বাংলাদেশের অনেক বিশেষজ্ঞ এখন প্রযুক্তি আসক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যেখানে ডিভাইস ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ, বিকল্প বিনোদন খুঁজে বের করা এবং বাস্তব জীবনের সাথে সংযোগ স্থাপন করার মতো বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সবশেষে, স্মার্টফোন ব্যবহারের পরিমাণ কমাতে আপনি একটি সাধারণ ফোন ব্যবহারের কথা বিবেচনা করতে পারেন। বাজারে এখন কিছু ফিচার ফোন পাওয়া যায়, যা স্মার্টফোনের তুলনায় অনেক কম সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন। তবে, গুগল ম্যাপ বা ব্যাংকিং-এর মতো প্রয়োজনীয় কিছু অ্যাপ এতে নাও থাকতে পারে।

স্মার্টফোন আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের ক্ষতি করতে পারে। আসুন, সচেতন হই এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করি, যা আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলবে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT