ব্রিটিশ কমেডিয়ান রস নোবল: হাস্যরসের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
রস নোবল, একজন ব্রিটিশ কমেডিয়ান, যিনি তাঁর অসাধারণ রসবোধ এবং অভিনব উপস্থাপনার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর জীবনের নানা মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
অনুরাগীদের মাঝে রস নোবলের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তাঁর কৌতুক বলার ধরন অন্যদের থেকে একদম আলাদা। তিনি দর্শকদের হাসাতে যেমন পারদর্শী, তেমনই বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামত তুলে ধরতে জুড়ি নেই।
কৌতুক জীবনের শুরু: রাস্তায় খেলা দেখানো
রস নোবল তাঁর কৌতুক জীবন শুরু করেছিলেন রাস্তাঘাটে খেলা দেখিয়ে। ব্যস্ত শহরের আনাচে-কানাচে তিনি তাঁর খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতেন। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “শপিং মলের মত ব্যস্ত জায়গায় খেলা দেখানোটা সহজ ছিল না।
একদিকে যেমন মানুষের আনাগোনা চলত, তেমনই নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতাও ছিল। সেসব সামলে দর্শকদের আকৃষ্ট করতে হতো।
সবচেয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা: অস্ত্রোপচারের সময়!
নোবলের জীবনে ঘটা সবচেয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, “আমার ভ্যাসেকটমি করানোর সময় এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যা আমি কখনোই ভুলতে পারব না।
ক্লিনিকে আমার পরিচিত একজন কাজ করতেন। তিনি আমাকে দেখেই বললেন, ‘আরে, আপনার বন্ধু তো সম্প্রতি স্ট্যান্ডআপ কমেডি শুরু করেছে!’ আমি তো শুনে অবাক! এমন পরিস্থিতিতেও মানুষ কীভাবে অন্য কথা ভাবতে পারে!”
ছোট্ট হাতির প্রতি ভালোবাসা
পশুপ্রেমী রস নোবলের একটি বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। তিনি যদি কোনো প্রাণী পোষার সুযোগ পেতেন, তাহলে একটি কুকুর-আকারের হাতি পোষতে চাইতেন। তিনি বলেন, “হাতি যেমন দারুণ, তেমনই ঘরের আসবাবপত্রের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি দেখতেও বেশ মজাদার হতো।
জীবনে পাওয়া সেরা পরামর্শ
কাজের প্রতি ভালোবাসার বিষয়ে বলতে গিয়ে রস নোবল জানান, তিনি একবার এক প্রবীণ কমেডিয়ানের কাছ থেকে একটি মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছিলেন। সেই কথাটি তিনি এখনো নতুনদের বলেন।
পরামর্শটি হলো, “টাকার জন্য, খ্যাতির জন্য বা সম্মানের জন্য কিছু করো না। এমন কিছু করো যা করতে ভালো লাগে।
প্রিয়জনের জন্য ভালোবাসার প্রকাশ
ভালোবাসা প্রকাশের এক অভিনব উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন রস নোবল। তিনি তাঁর স্ত্রীর জন্য বাগানের হোস পাইপের সংযোগগুলোতে ভালোবাসার বার্তা খোদাই করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী এই উপহার পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতি: একটি বিশেষ আকর্ষণ
অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন বসবাস করার সুবাদে তিনি সেখানকার সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। তবে একটি জিনিস আছে যা তাঁর কাছে এখনো বেশ আকর্ষণীয়। সেটি হলো, সেখানকার ‘সনিবার সকালের হার্ডওয়্যার স্টোরের সসেজ’।
তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে এমনটা দেখা যায় না! প্রায় প্রতি শনিবার আমি পার্ক রান শেষ করে সসেজ খেতে যাই। এই সংস্কৃতিটা সারা বিশ্বে চালু হওয়া উচিত।
বর্তমানে রস নোবল তাঁর নতুন লাইভ শো, ‘ক্রেনিয়াম অফ কুরিওসিটিজ’ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর করছেন। অক্টোবরে তিনি যুক্তরাজ্যেও শো করবেন। এছাড়াও, তিনি এসবিএস ফুডের ‘মেমোরি বাইটস উইথ ম্যাট মরান’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কাজ করছেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান