1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 20, 2025 3:54 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
কঙ্গো-রুয়ান্ডা: অবশেষে শান্তির পথে? আলোচনার খবরে আলো আলোচনা শেষে ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে ‘ইতিবাচক’ সম্পর্ক! বিয়ে করলেন জোনাথন মেজর্স ও মেগান গুড! কান্নাভেজা কণ্ঠে জানালেন… গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ: নেতজারিমে অভিযান, বিশ্বজুড়ে নিন্দা! পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অস্বস্তি! বিস্ফোরক মন্তব্য গিনেথ প্যালট্রোর গাজায় আবারও ধ্বংসযজ্ঞ: ‘সব আশা শেষ!’ ফিলিস্তিনিদের আহাজারি মার্কিন অর্থনীতি: ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে কি তবে মন্দা আসন্ন? মাহমুদ খলিলের মামলা: নিউ জার্সিতে স্থানান্তরের নির্দেশ! পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাস যুদ্ধ’: ভয়ঙ্কর পথে হাঁটা? অস্ট্রেলিয়ার রাগবি: আসন্ন ব্রিটিশ ও আইরিশ লায়ন্স চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে?

ফিল জোন্স: মাঠই আমার সবকিছু, ফুটবল খেলাটাই আসল!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, March 20, 2025,

ফিল জোনস: মাঠের ঘাসই আমার ভালো লাগে, কোচিংয়ে নতুন দিগন্তের স্বপ্ন

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন ডিফেন্ডার ফিল জোনস খেলোয়াড় জীবনকে বিদায় জানিয়েছেন গত গ্রীষ্মে।

খেলোয়াড় জীবনের ইতি টানার পর দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি বার্তা পাঠিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে হাসতে হাসতে গ্রুপ ত্যাগ করেন।

কেউ কিছু মনে করেনি। এটাই ফুটবল।

৩৩ বছর বয়সী জোনস বর্তমানে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন। খেলোয়াড় জীবনের সমাপ্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, তাঁর জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজটি ছিল আবেগপূর্ণ বিদায় বার্তা পাঠানো।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বছরের পর বছর ধরে সতীর্থদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, ছবি আদান-প্রদান—এসবের মাঝে ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি উয়েফা প্রো লাইসেন্স কোচিং কোর্সের ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

সেই সূত্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তাঁর খেলোয়াড় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন।

খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর জন্য সহজ ছিল না। জোনস বলেন, “ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসেও আমি জানতাম, আমি এখনও খেলতে পারি।

আমার পারফর্ম করার ক্ষমতা ছিল, সেই মানের ফুটবলার আমি এখনও। কিন্তু আমার শরীর আর সেই সঙ্গ দিচ্ছিল না। তাই সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হয়েছিল।”

দীর্ঘ ১৪ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে ইনজুরি ছিল তাঁর অন্যতম প্রধান বাধা। ব্ল্যাকবার্নের একাডেমিতে খেলার সময় প্রথম হাঁটুতে চোট পান তিনি।

এরপর সেই চোটই তাঁর সিনিয়র ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ডেকে আনে। জোনস বলেন, “আমার বিদায়টা সেভাবে হয়নি, যেভাবে আমি চেয়েছিলাম।

তবে আমি যা অর্জন করেছি, তাতে গর্বিত। আমার অনেক সুন্দর স্মৃতি আছে, গর্ব করার মতো মুহূর্ত আছে।

আমি একটি স্বপ্নকে সত্যি করেছি।”

প্রো লাইসেন্স কোর্সের একটি অংশে, প্রশিক্ষকদের ছয়টি ছবি জমা দিতে বলা হয়। এর মধ্যে তিনটি ব্যক্তিগত এবং তিনটি ফুটবল সম্পর্কিত ছবি ছিল।

জোনসের ফুটবল বিষয়ক ছবিগুলো তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের উত্থান-পতনকে তুলে ধরে। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচে তিনি ৭ নম্বর জার্সি পরে মিডফিল্ডে খেলছেন— “আমি খুবই খারাপ খেলেছিলাম।”

এছাড়াও ২০১৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জেতার ছবি এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে উলভসের বিরুদ্ধে ৭০০ দিন পর ইনজুরি থেকে ফিরে খেলার ছবিও ছিল।

উলভসের বিরুদ্ধে খেলার প্রসঙ্গে জোনস বলেন, “হ্যারি ম্যাগুইয়ার ইনজুরিতে পড়ায় আমি জানতাম আমাকে খেলতে হবে।

মাঠে নামার আগে আমার হাঁটুতে অনেক যন্ত্রণা ছিল। মাঠে নামার অনুভূতি এখনো আমাকে শিহরিত করে।

কারণ, আমি তখন প্রায় ভেঙে পড়েছিলাম। হাঁটুতে চার-পাঁচটা অস্ত্রোপচার হয়েছিল আমার।”

জোনস আরও জানান, মাঠের বাইরে থাকাকালীন তিনি খেলার প্রতি কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, “খেলা থেকে দূরে থাকার কারণে আমি হতাশ হয়ে পড়ছিলাম।”

সেই সময়টা তাঁর জন্য নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার ছিল। খেলোয়াড় জীবনের চাপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবে খেললে সবসময় একটা চাপ থাকে।

মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে সবসময় সমালোচনা শুনতে হয়। এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও অনেকে খারাপ মন্তব্য করে, যা খুবই কষ্টদায়ক।

বর্তমানে ম্যাসন মাউন্ট এবং লুক শ’কে নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে, তা দেখে আমার খুব খারাপ লাগে। কারণ আমি জানি, তারা কেমন অনুভব করছে।”

২০২৩ সালে ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জোনস পিএফএ বিজনেস স্কুলের গ্লোবাল ফুটবল স্পোর্ট ডিরেক্টorship কোর্স, উয়েফা এ লাইসেন্স কোর্স এবং ইউনাইটেডের অনূর্ধ্ব-১৮ দলের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন।

তিনি বসে থাকতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, “যখন বাড়িতে বসে থাকতাম, তখন আমার স্ত্রী জানতে চাইত, আজ কি করছেন?

সবসময় মাঠে থাকার, বাইরে যাওয়ার একটা অভ্যাস ছিল। তাই শুরুতে কয়েক সপ্তাহ ভালো কাটলেও, পরে অস্থির লাগতে শুরু করে।

এরপর আমি ডিরেক্টর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, যাতে ফুটবলের প্রতি অন্যরকম মনোযোগ দিতে পারি।

তবে মাঠের ঘাসই আমার ভালো লাগে এবং আমি সেটাই উপভোগ করি।”

বর্তমানে জোনস ইউনাইটেডের অনূর্ধ্ব-১৮ দলের সঙ্গে যুক্ত নন, তবে তিনি জানান, “ক্লাব আমাকে এই সুযোগ দিয়েছে এবং আমি এটা করতে চেয়েছিলাম।

কারণ, এর মাধ্যমে আমি কোচিংয়ের অন্য দিকগুলো দেখতে পারবো এবং কিভাবে তারা কাজ করে, তা জানতে পারবো।

আমি মনে করি, এখন আমি একটি চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।”

কোচিংয়ের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি এত বোকা নই যে, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে একজন প্রধান কোচ বা ম্যানেজার হয়ে যাব।

আমি বুঝি, আমাকে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠতে হবে। আমি সেই কাজটি করতে প্রস্তুত।”

ফিল জোনসের দল কেমন হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আক্রমণাত্মক, তীব্র এবং নমনীয়।

আমি একজন জয়ী মানুষ। আমি যেকোনো মূল্যে ম্যাচ জিততে চাই। প্রয়োজনে খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে অথবা কৌশল বদলাতে আমি প্রস্তুত।

এটাই ফলাফলের খেলা। বর্তমান যুগে আপনি যদি কোনো দলের দায়িত্ব নেন, তাহলে খুব দ্রুত খেলার ধরনে পরিবর্তন আনা বা আপনার কৌশলগুলো প্রয়োগ করা ঠিক হবে না।

কারণ এতে দ্রুত ব্যর্থ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই দল এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ধীরে ধীরে বিষয়গুলো প্রবেশ করাতে হবে।

আমি আকর্ষণীয় ফুটবল খেলাতে চাই। আমরা সবাই চাই।

তবে সবসময় তেমনটা নাও হতে পারে।”

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT