আমেরিকার দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ট্রেন পথের আধুনিকীকরণ করছে অ্যামট্র্যাক (Amtrak)। দেশটির জাতীয় রেল সংস্থাটি তাদের দীর্ঘ পথের যাত্রী পরিষেবা উন্নত করতে বিপুল বিনিয়োগ করছে।
এর অংশ হিসেবে শিকাগো থেকে সান আন্তোনিও পর্যন্ত বিস্তৃত ‘টেক্সাস ঈগল’ রুটে যুক্ত হচ্ছে নতুন সব সুবিধা। এই রুটের সান আন্তোনিও থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত সংযোগ সহ মোট দূরত্ব ২,৭২৮ মাইল।
বর্তমানে, টেক্সাস ঈগল রুটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হলো ‘সাইটসিয়ার লাউঞ্জ’ বা পর্যবেক্ষণ কামরা ফিরিয়ে আনা। জানা গেছে, কোভিড মহামারীর কারণে এই কামরাগুলো তুলে নেওয়ার পর, ২০২৫ সালের মার্চ মাস থেকে আবার চালু করা হয়েছে।
এই কামরাগুলোতে বড় আকারের জানালা রয়েছে, যেখান থেকে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়।
এই রুটে অ্যামট্র্যাক আরও কিছু উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন ব্যবস্থা, বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং ‘সুপারলাইনার’ কামরাগুলোর আধুনিকীকরণ।
এই কামরাগুলোতে কোচ ও শয়ন কক্ষের ব্যবস্থা রয়েছে।
অ্যামট্র্যাক বোর্ডের চেয়ারম্যান টনি কোসিয়া জানিয়েছেন, “অ্যামট্র্যাকের দীর্ঘ পথের রুটগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আমরা ক্রমাগতভাবে এর উন্নতি করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের দীর্ঘ পথের পরিষেবার ভবিষ্যৎ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী এবং যাত্রী অভিজ্ঞতা উন্নত করতে চাই।”
টেক্সাস ঈগল মূলত শিকাগো ও সান আন্তোনিওর মধ্যে চলাচল করে। এই পথে সেন্ট লুইস, লিটল রক, ডালাস, ফোর্ট ওর্থ এবং অস্টিনের মতো শহরগুলোতে যাত্রাবিরতি রয়েছে।
প্রতিদিন এই ট্রেনটি প্রায় ৩২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে ১,৩০৬ মাইল পথ পাড়ি দেয়। সান আন্তোনিওতে ‘সানসেট লিমিটেড’-এর সঙ্গে সংযোগের মাধ্যমে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত ভ্রমণ করা সম্ভব।
বাংলাদেশেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। যদিও আমেরিকার এই দীর্ঘ পথের ট্রেন যাত্রা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এখনো বেশ ভিন্ন, তবে উন্নত যাত্রী পরিষেবা এবং আধুনিকীকরণের এই প্রচেষ্টা রেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে তোলে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার