মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট ‘মার্চ ম্যাডনেস’-এর খেলাগুলো শুরুর প্রথম দিনেই বোঝা গেছে, এর ফল আগে থেকে অনুমান করা কতটা কঠিন। সারা বিশ্ব থেকে বাস্কেটবলপ্রেমীরা এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি খেলার ফল আগে থেকে বলার চেষ্টা করেন, যাকে ‘ব্র্যাকেট’ তৈরি করা বলা হয়।
কিন্তু খেলা শুরুর পর দেখা যায়, শতকরা এক ভাগের কম ‘ব্র্যাকেট’ নির্ভুল ছিল। প্রতি বছর মার্চ মাসে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন কলেজ দলগুলো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
খেলাগুলোর ফল আগে থেকে বলার জন্য ভক্তরা একটি ‘ব্র্যাকেট’ তৈরি করেন, যেখানে তারা প্রতিটি খেলার বিজয়ী দল নির্বাচন করেন। এই ‘ব্র্যাকেট’ তৈরি করা একটি জনপ্রিয় খেলা, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের জ্ঞান এবং অনুমানের ভিত্তিতে স্কোর করেন।
এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে দেখা গেছে, যারা ব্র্যাকেট তৈরি করেছিলেন, তাদের মধ্যে শতকরা ০.১ ভাগের কম মানুষ প্রতিটি খেলার ফল সঠিকভাবে অনুমান করতে পেরেছেন। ইএসপিএন (ESPN), সিবিএস স্পোর্টস (CBS Sports) এবং ইয়াহু স্পোর্টসের (Yahoo Sports)-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ইএসপিএন-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিনের খেলা শেষে তাদের ওয়েবসাইটে জমা হওয়া ২ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি ‘ব্র্যাকেট’-এর মধ্যে মাত্র ২৫,৮০২টি নির্ভুল ছিল। অন্যদিকে, এনসিএএ (NCAA) জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটে জমা হওয়া ৩ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি ‘ব্র্যাকেট’-এর মধ্যে মাত্র ০.০৯৩৮ শতাংশ নির্ভুল ছিল।
সিবিএস স্পোর্টসেও একই চিত্র দেখা গেছে, যেখানে প্রথম দিনের খেলা শেষে ০.০৯ শতাংশ ‘ব্র্যাকেট’ ছিল নির্ভুল। খেলাগুলোতে কিছু অপ্রত্যাশিত ফল বা ‘আপসেট’ হওয়ায় অনেক ‘ব্র্যাকেট’ বাতিল হয়ে যায়।
উদাহরণস্বরূপ, ১২ নম্বর বাছাই হওয়া ম্যাকনিস দল (McNeese) ৫ নম্বর বাছাই হওয়া ক্লেমসন দলকে (Clemson) ৬৯-৬৭ পয়েন্টে পরাজিত করে। এই ফলাফলের কারণে ইএসপিএন-এর প্রায় ৬৬ লক্ষ ‘ব্র্যাকেট’ বাতিল হয়ে যায়।
এছাড়া, ক্রেইটন দল (Creighton) লুইসভিলকে (Louisville) ৮৯-৭৫ পয়েন্টে হারানোর কারণে আরও ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯০৯টি ‘ব্র্যাকেট’ বাতিল হয়। এ থেকে বোঝা যায়, বাস্কেটবল খেলার ফল আগে থেকে অনুমান করা খুবই কঠিন।
যারা ‘ব্র্যাকেট’ তৈরি করেন, তাদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। কারণ, খেলার ফল অনেক সময় অপ্রত্যাশিত হতে পারে, যা কারো পক্ষেই সঠিকভাবে অনুমান করা সম্ভব হয় না। তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান