প্রেমের সন্ধানে: কেট মস ভেবে ভুল করা এক ডেটিং অভিজ্ঞতা।
আধুনিক যুগে ডেটিংয়ের ধারণাগুলো অনেক বদলে গেছে। পছন্দের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য এখন আর শুধু সামাজিক অনুষ্ঠান বা বন্ধুদের ওপর নির্ভর করতে হয় না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ডেটিং অ্যাপ, এমনকি সংবাদপত্রের মাধ্যমেও মানুষ তাদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নিচ্ছেন।
সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এমনই এক যুগলের ডেটিংয়ের গল্প।
এমিলি ও জ্যাক নামের এই দুই তরুণ-তরুণীর পরিচয় হয় ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার ‘ব্লাইন্ড ডেট’ বিভাগের মাধ্যমে। যেখানে তারা একে অপরের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
তাদের কথোপকথনের শুরুটা ছিল বেশ মজার। এমিলি জানান, তিনি দেরিতে আসায় জ্যাক বিষয়টি বেশ ভালোভাবে নিয়েছিলেন। তারা কথা বলেছিলেন আইসক্রিম ভ্যান থেকে শুরু করে দাতব্য সংস্থার দোকান থেকে কেনা বিছানার চাদর, এমনকি পিৎজা এক্সপ্রেসের প্রতি তাদের ভালোবাসার কথা নিয়েও।
এমিলির নতুন গরুর ছাপের জুতাও ছিল আলোচনার বিষয়।
অন্যদিকে, জ্যাকের চোখে এমিলি ছিলেন একজন চমৎকার গল্পকার। তিনি এমিলির বলা নানা মজাদার গল্প মন দিয়ে শুনেছিলেন।
তবে, তাদের ডেটিংয়ের সবচেয়ে মজাদার মুহূর্তটি ছিল যখন জ্যাক এমিলিকে প্রথমে কেট মস-এর মতো দেখতে বলেন, কিন্তু পরক্ষণেই সংশোধন করে বলেন, “আরে না, কেট বুশ-এর মতো! যদিও তাকেও আমার ভালো লাগে।”
তাদের দুজনের কেউই এই ডেটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভোলেননি। এমিলি জ্যাককে দশের মধ্যে আট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, জ্যাকের চোখে এমিলি ছিলেন খুবই আকর্ষণীয়, তাই তিনি দিয়েছেন নয়।
ডেটিংয়ের শেষে তারা ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে পথ হারিয়ে ফেলেন। এরপর বিভিন্ন স্টেশনে ঘোরাঘুরি করতে করতে অনেক দেরি হয়ে যায়।
যদিও তারা একে অপরের সঙ্গে ভালোভাবে মিশেছিলেন, তবুও চুমু খাওয়ার সুযোগ হয়নি।
তাদের এই ডেটিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, মানুষের রুচি ও পছন্দের ধরন ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু ভালোবাসার পথে এগিয়ে যেতে হলে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও পছন্দের প্রতি সম্মান জানানো জরুরি।
এমিলি ও জ্যাক ভবিষ্যতে আবারও দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান