একজন খ্যাতিমান ব্রিটিশ বেতার ব্যক্তিত্ব এমা বার্নেট, যিনি সম্প্রতি মাতৃত্ব এবং কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। রেডিওতে কাজ করা, ব্যক্তিগত জীবন এবং একটি নতুন বই লেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন।
ছোটবেলায় এমা শারীরস্থান নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। ভেড়া বা অন্য কোনো প্রাণীর ফুসফুস পরীক্ষার প্রতি তার আগ্রহ ছিল। অস্ত্রোপচার করারও ইচ্ছা ছিল তার।
মাছের প্রতিও ছিল তার বিশেষ আকর্ষণ। একা থাকার কারণে রেডিও ছিল তার নিত্যসঙ্গী। সিরিয়াল খেতে খেতে তিনি রেডিও শুনতেন।
এমা জানান, তিনি সাধারণত দৈনিক ছয় ঘণ্টা ঘুমান। একটি সাক্ষাৎকারের পর তার চুপ থাকার প্রয়োজন হয়। সাক্ষাৎকারের সময় তিনি এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চান যেখানে কোনো অচেনা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়।
ছোটবেলায় তিনি খুব কৌতূহলী ছিলেন। এখনো তার মধ্যে সেই অনুসন্ধিৎসা রয়েছে। কেউ কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করে, রেডিওর মানুষটা কি আসল, নাকি অন্য কেউ?
উত্তরে এমা জানান, রেডিওর মানুষটাই তিনি। এন্ডোমেট্রিওসিস নামক একটি স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে কাজ চালিয়ে যাওয়া তার জন্য কঠিন ছিল।
কর্মজীবনের মাধ্যমে তিনি এই কষ্ট থেকে মুক্তি পান। মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় তিনি দুই সন্তানের দেখাশোনা করতেন।
মা হওয়ার পর নিজের জীবনের চেয়ে সন্তানদের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হয়। মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় তিনি তার অনুভূতিগুলো লিখে রেখেছিলেন, যা তার মেয়ের জন্য একটি দিকনির্দেশনা হতে পারে।
রেডিওতে কথা বলার সময় তিনি তার কাকিমার কথা মনে করেন। কাকিমা সবসময় তাকে সাহস জুগিয়েছেন। নতুন কিছু করার সময় তিনি কাকিমার কথা স্মরণ করেন।
মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং লকডাউনের মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সীমিত সুযোগের মধ্যে নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করা এবং জীবনের অন্য দিকগুলো উপলব্ধি করার সুযোগ পাওয়া যায়।
কাজ এবং মাতৃত্বের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন। তবে, তিনি মনে করেন, যারা গুরুত্বপূর্ণ, তারা বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারে। আর যারা সমালোচনা করে, তাদের কথায় গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এমা বার্নেটের লেখা ‘ম্যাটারনিটি সার্ভিস: এ লাভ লেটার টু মাদার্স ফ্রম দ্য ফ্রন্টলাইন অফ ম্যাটারনিটি লিভ’ (Maternity Service: A Love Letter to Mothers From the Frontline of Maternity Leave) বইটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রায় ১,৮০০ টাকার কাছাকাছি মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান