ট্রাম্পের গ্রীনল্যান্ড দখলের আগ্রহ, ডেমোক্রেটদের উদ্বেগ আর বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার তিনি গ্রীনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও বলেছেন, আর্কটিক অঞ্চলের এই দ্বীপটির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জরুরি। তাদের মতে, চীন ও রাশিয়ার প্রভাব ঠেকাতে গ্রীনল্যান্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে গ্রীনল্যান্ডের রাজনৈতিক দলগুলো ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তারা একজোট হয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়েছে, ‘গ্রীনল্যান্ড আমাদের’।
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ধরনের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেট নেতা ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিকে ‘নির্বুদ্ধিতা’ এবং ‘বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। হিলারির মতে, ট্রাম্পের এই ধরনের সিদ্ধান্ত আমেরিকার বন্ধুহীনতার কারণ হবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি ফোনালাপ করেছেন। যদিও ট্রাম্প এটিকে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেছেন, তবে কানাডার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শুল্কের মোকাবিলায় পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে প্রস্তুত।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও বিতর্ক চলছে। সরকার এখন থেকে ছাত্র ভিসা প্রার্থীদের উপর কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে। এখন থেকে ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলও খতিয়ে দেখা হবে, যাতে তারা কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কিনা তা নিশ্চিত করা যায়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো, প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা আলভারো বেদোয়ার অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্তের পেছনে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের হাত রয়েছে। তার মতে, এখানে ‘ক্ষমতার বিনিময়ে সুবিধা’র মতো বিষয় ঘটছে।
অন্যদিকে, ইলন মাস্কের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি xAI, তার মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-কে কিনে নিয়েছে। এর ফলে মাস্কের ক্ষমতা আরও বাড়ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
অন্যান্য খবরে জানা যায়, উইসকনসিনের ডেমোক্রেট অ্যাটর্নি জেনারেল ইলন মাস্ককে ১ মিলিয়ন ডলারের চেক ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা থেকে বিরত রাখতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এছাড়াও, একটি ফেডারেল আদালত ভোক্তা সুরক্ষা ব্যুরোকে ভেঙে দেওয়ার ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে আপাতত স্থগিত করেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান