জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য ও দুই ‘সন্দেহভাজন বিদ্রোহী’ নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘রাইজিং স্টার কর্পস’ সামাজিক মাধ্যমে এই খবর জানায়।
কাথুয়া শহরের কাছে একটি বনভূমি অঞ্চলে বৃহস্পতিবার এই বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “আমরা তিনজন পুলিশ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি এবং আরও একজন পুলিশ সদস্য ও দুই জঙ্গির মৃতদেহ বনে পড়ে থাকতে দেখেছি।”
ওই এলাকা থেকে দুটি গ্রেনেড, একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, গুলির খোল এবং কিছু অ্যাসল্ট রাইফেলের ম্যাগাজিনসহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতার মাত্রা কিছুটা কমেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩০।
পুলিশ প্রধান নালিন প্রভাত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশের একটি দল আক্রান্ত হয়েছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, জঙ্গিরা পাকিস্তানের দিক থেকে এসেছে। যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
প্রভাত আরও বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিবেশীর (পাকিস্তান) এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ না করা পর্যন্ত ঘুমোব না।”
উল্লেখ্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে। উভয় দেশই এই অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করে।
ভারত প্রায়ই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার জন্য জঙ্গি পাঠানোর অভিযোগ করে।
তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে, তারা কেবল কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানায় বলে দাবি করে।
২০১৯ সালে ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে এই অঞ্চলে অস্থিরতা আরও বেড়েছে।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা