জাখিন্থোস: একটি আদর্শ গন্তব্য, যেখানে পরিবারগুলো একসঙ্গে উপভোগ করতে পারে। গ্রীষ্মের ছুটি কাটানোর জন্য সুন্দর একটি গন্তব্য হলো গ্রিসের জাকিন্থোস দ্বীপ।
মনোরম দৃশ্য, ঐতিহাসিক স্থান, চমৎকার সমুদ্র সৈকত এবং বিভিন্ন রকমের কার্যকলাপের জন্য এই দ্বীপটি বর্তমানে পরিবারগুলোর কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছেও এটি একটি অসাধারণ গন্তব্য হতে পারে, যেখানে সবাই মিলে আনন্দ করতে পারে।
জাকিন্থোসের আকর্ষণীয় দিকগুলো
জাকিন্থোসের দক্ষিণে অবস্থিত কেরি ও ভাসিলিকোস উপদ্বীপ দুটি এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে শান্ত সমুদ্রের ঢেউ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সৈকত, যা শিশুদের সাঁতার কাটার জন্য উপযুক্ত।
এছাড়াও, এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট, যেখানে সি-ফুড সহ নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
যারা সমুদ্র ভালোবাসেন, তাদের জন্য কেরি গুহা একটি চমৎকার জায়গা। এখানে নৌকায় করে গুহাগুলো ঘুরে দেখা যেতে পারে।
এখানকার স্বচ্ছ পানিতে কচ্ছপ সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী দেখা যায়, যা শিশুদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা।
পাহাড় ভালোবাসলে, স্কোপোস পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা যেতে পারে। পাহাড়ের উপরে রয়েছে একটি পুরনো চার্চ ও মঠ।
পাহাড়ের উপরে ওঠার পথে দেখা মিলবে ছাগলের পালের, যা শিশুদের বেশ আনন্দ দেবে। এছাড়াও, এখানকার একটি ক্যাফেতে বসে ঠান্ডা পানীয় উপভোগ করা যেতে পারে।
খাবার-দাবারের স্বাদ
জাকিন্থোসে খাবারেরও রয়েছে নানা বৈচিত্র্য। এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোতে স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি নানান পদ পাওয়া যায়।
পরিবারের সবাই মিলে গ্রিক খাবার ‘মেজ্জে’ উপভোগ করতে পারেন। ছোটদের জন্য এখানে সুভলাকি ও গায়রোর মতো খাবারগুলো বেশ জনপ্রিয়।
মিষ্টিমুখ করতে চাইলে কাইমাকি আইসক্রিম চেখে দেখতে পারেন, যা এখানকার একটি বিশেষত্ব।
থাকার ব্যবস্থা
পরিবার নিয়ে থাকার জন্য এখানে বিভিন্ন ধরনের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। আর্গাসি শহরে অবস্থিত উইন্ডমিল বে হোটেলটি পরিবার-বান্ধব।
এখানকার কক্ষগুলো বেশ আরামদায়ক এবং সুইমিং পুলের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
সংস্কৃতি ও অভিজ্ঞতা
জাকিন্থোসে শুধু প্রকৃতি নয়, সংস্কৃতিরও ছোঁয়া রয়েছে। এখানে মাটির পাত্র তৈরির ক্লাস করার সুযোগ আছে, যেখানে পরিবারের সদস্যরা মিলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।
জাকিন্থোস: কেন যাবেন?
জাকিন্থোস একটি সুন্দর দ্বীপ, যা একইসঙ্গে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেয়। এখানকার পরিষ্কার সমুদ্র সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ এটিকে একটি আদর্শ গন্তব্য করে তুলেছে।
বাংলাদেশের পরিবারগুলো তাদের ছুটির দিনগুলো আনন্দ ও স্মৃতিময় করে তুলতে পারে এই সুন্দর দ্বীপে।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক