1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
April 1, 2025 1:13 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জীবন ঝুঁকির মুখে? ভ্যাকসিন গবেষণা বন্ধে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞরা! সংবাদ: দুবাইতে রাব্বি হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড! চীন-হংকং কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা: তোলপাড়! ভয়ংকর! ত্রিনিদাদে ভ্রমণ সতর্কতা, পর্যটকদের জন্য জরুরি খবর! স্কুল বাসের ধাক্কায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ‘এপস্টাইনের শিকার’! দৌড়ের জগতে নতুন মোড়: জকি ক্লাবে জিম ম্যুলেন, আলোচনা তুঙ্গে! কৃষি বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা, অর্থ নেই! ভয়াবহ পরিস্থিতি! ৯টি হোম রান! ভয়ঙ্কর ব্যাটিংয়ে মাঠ কাঁপাল ইয়্যাঙ্কিজ, নতুন অস্ত্রের চমক! ছোট্ট রাহাফ: ঈদের আলো কেড়ে নেওয়া শোকগাথা নীল জলের দেশে: ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে নৌকাবিহারের অভিজ্ঞতা!

মহাকাশের দুঃসাহসী: গ্যালাকটিক যাত্রার অগ্রদূত!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Sunday, March 30, 2025,

মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন: ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহাকাশ অভিযানের পথিকৃৎ

বিগত কয়েক দশক ধরে মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলির পাশাপাশি, ব্যক্তিগত উদ্যোগেও মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে। এই পরিবর্তনে, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হল সাহস এবং ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা।

আজকের নিবন্ধে আমরা সেইসব অগ্রদূতদের কথা আলোচনা করব, যাঁরা সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে মহাকাশ গবেষণায় নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।

শুরুতে, জার্মানির লু্ৎজ কায়সারের কথা বলতে হয়। ১৯৮৭ সালে, জার্মানি সরকার যখন তাঁর লিবিয়ার কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেয়, তখন কায়সারের ‘ওটরাগ’ (OTRAG) নামক রকেট প্রকল্পের সমাপ্তি ঘটে।

কায়সারের স্বপ্ন ছিল, সকলের জন্য মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করা। জার্মানি থেকে শুরু করে কঙ্গো এবং লিবিয়ার মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রকল্পের কার্যক্রম। ওটরাগ-এর ধারণা ছিল, গণহারে উৎপাদিত যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে বিভিন্ন আকারের রকেট তৈরি করা।

কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সন্দেহ ছিল, লিবিয়া এই প্রোগ্রামকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। এর ফলস্বরূপ, কায়সারকে তাঁর দেশে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ওটরাগের সরঞ্জামগুলি বাজেয়াপ্ত করেন। যদিও কায়সারের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়, তাঁর তৈরি করা মডুলার রকেট ডিজাইন পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশ প্রকৌশলীদের প্রভাবিত করেছে।

সরকারি সংস্থাগুলো যখন ‘স্পুটনিক’কে (Sputnik) কক্ষপথে পাঠাচ্ছিল, মানুষ যখন চাঁদে পা রাখছিল, তখন কায়সারের মতো ব্যক্তিরা তাঁদের নিজস্ব পথে হেঁটেছেন। তাঁরা প্রায়ই তাঁদের সমসাময়িকদের দ্বারা উপহাসিত হয়েছেন, কিন্তু তাঁরা দমে যাননি।

এই প্রসঙ্গে, ১৯ শতকের শেষের দিকে রাশিয়ান বিজ্ঞানী কনস্টানটিন সিওলকোভস্কির কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ছিলেন রকেট প্রযুক্তির তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপনকারীদের মধ্যে অন্যতম।

সিওলকোভস্কি গণিত ও পদার্থবিদ্যায় আগ্রহী ছিলেন এবং কল্পবিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়ে মহাকাশ ভ্রমণের ধারণা দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। যদিও তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না, তিনি গবেষণা চালিয়ে যান এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেন, যা আধুনিক রকেট প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছে।

তিনি মাল্টি-স্টেজ রকেট, মহাকাশ স্টেশন, এবং স্পেস কলোনির জন্য বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের নকশা তৈরি করেন।

পরবর্তীকালে, রবার্ট এইচ. গডার্ড নামক এক মার্কিন প্রকৌশলী তরল জ্বালানিযুক্ত রকেট তৈরি করেন। গডার্ডও বিজ্ঞান ও যন্ত্রকৌশলের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করতেন।

তিনি এইচ জি ওয়েলসের “ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস” বইটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন। ১৯২৬ সালে, তিনি প্রথম তরল জ্বালানিযুক্ত রকেট উৎক্ষেপণ করেন, যা মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল।

এইসব অগ্রগামীদের পথ ধরে, আধুনিক যুগে ব্যক্তিগত মহাকাশ সংস্থাগুলির উত্থান হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্পেসএক্স (SpaceX) ও ভার্জিন গ্যালাকটিক (Virgin Galactic)। এদের প্রধান উদ্যোক্তা হলেন যথাক্রমে ইলন মাস্ক ও রিচার্ড ব্র্যানসন।

এই সংস্থাগুলো মহাকাশ ভ্রমণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং বাণিজ্যিকীকরণের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বর্তমানে, একটি সাব-অরবিটাল ভ্রমণের খরচ প্রায় ৬ লক্ষ মার্কিন ডলার, যা আমাদের দেশের মুদ্রায় অনেক বড় একটি অঙ্ক।

মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি সংস্থাগুলির এই উত্থান নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বাড়ছে, মহাকাশ ভ্রমণের খরচ কমছে এবং সাধারণ মানুষের জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

তবে, এই পরিবর্তনের ফলে কিছু প্রশ্নও উঠছে। মহাকাশ উপনিবেশ স্থাপন কতটা বাস্তবসম্মত? এই ক্ষেত্রে, উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য সুযোগগুলি কী হবে?

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি দেখি, তাহলে মহাকাশ গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সফল উৎক্ষেপণ আমাদের মহাকাশ বিষয়ক সক্ষমতার প্রমাণ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য, মহাকাশ গবেষণা অত্যন্ত জরুরি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহাকাশ অভিযানের এই নতুন ধারা, উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।

ভবিষ্যতে, আমরা আশা করতে পারি, মহাকাশ গবেষণা শুধু কয়েকটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং, এটি হবে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা, যেখানে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলি একসঙ্গে কাজ করবে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT