শিরোনাম: ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলার ভিডিও প্রকাশের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ।
গাজা উপত্যকায় (Gaza Strip) কর্মরত ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলার একটি নতুন ভিডিও প্রকাশের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভিডিওটিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসা সহায়তা দিতে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন। এই হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী, এমনটাই জানা গেছে। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী, যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘাতের সময় স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষার অধিকার রয়েছে। তাদের ওপর কোনো ধরনের হামলা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটানো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো বিভিন্ন হামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিশানা করা হয়েছে। যদিও ইসরায়েল সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে, ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
ভিডিওটি প্রকাশের পর বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে, যাতে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা যায়। একইসঙ্গে, গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর (United Nations Human Rights Office) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, “স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।” একইসঙ্গে, তারা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বর্তমানে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ঘটনার ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছে। ভবিষ্যতে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই এখন সবার নজর।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা