ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধানে পৌঁছায়নি, তবে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক সংস্থা প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি এই আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
ভিয়েনায় এক সেমিনারে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আলোচনা এখনো চলছে এবং এর ফল কী হবে, তা বলা কঠিন।
বর্তমানে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশের খুব কাছাকাছি।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর প্রধান গ্রোসি জানান, তিনি নিয়মিতভাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সঙ্গে কথা বলছেন।
এছাড়া, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। গ্রোসি আরও জানান, তাঁর একজন ডেপুটি বর্তমানে তেহরানে অবস্থান করছেন।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো ইরানের পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করার বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। এই বিষয়ে ওমান ও ইতালির রাজধানী রোমে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
ওমানের মধ্যস্থতায় হওয়া এই আলোচনা এখনো পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে আঘাত হানার হুমকি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে যেতে পারে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেন সালামি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনো ভুল পদক্ষেপ নিলে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
গ্রোসি মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। তিনি জানান, আইএইএ উভয় পক্ষকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
তবে, কোনো চুক্তি হলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সংস্থাটিকে ভালোভাবে তদন্ত করতে হবে। গ্রোসি আরও উল্লেখ করেন, ইরানের কর্মকর্তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তিনি সেটিকে সম্মান করেন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিবের পদ পাওয়ার বিষয়ে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন গ্রোসি।
বর্তমানে এই পদে আসীন আছেন আন্তোনিও গুতেরেস, যাঁর মেয়াদ ২০২৭ সালে শেষ হবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।