1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 16, 2025 11:08 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
মার্কিন হামলা: ইয়েমেনে হুতিদের কঠোর প্রতিশোধের ঘোষণা, যুদ্ধের দামামা! যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প, উত্তেজনার পারদ! বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাদারীপুরে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্র রাষ্ট্রগঠনে বাকশালী স্টাইলে সকল নেতৃত্ব দেওয়ায় মানুষ জিম্মি হয়েছিল- মাওলানা খলিলুর রহমান কাউখালীতে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সমাবেশ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স! প্রোctor ও Knueppel-এর ঝলকে জয়ী ডিউক, শিরোপা তাদেরই! সিলেকশন সানডে: মার্চ উন্মাদনায় ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে অপেক্ষা তরুণদের! জাপানিজ বেসবল: নোমো থেকে শুরু, ওহতারির ঝলক, ইতিহাসের সাক্ষী! ঐতিহাসিক মুহূর্ত! ৮৯৪ গোলের মাইলফলকের খুব কাছে ওভেশকিন! শেষ মুহূর্তে ইগামানের গোলে সেল্টিককে হারিয়ে র‍্যাঞ্জার্সের স্মরণীয় জয়!

ঘরের জঞ্জাল: আনন্দ নয়, এবার সহজ উপায়ে অগোছালো জিনিস সরান!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Sunday, March 16, 2025,

জিনিসপত্র কমানোর সহজ উপায়, যা আপনার জীবনকে করবে আরও সুন্দর।

আমাদের চারপাশে অনেক জিনিসপত্র জমে থাকে, যা হয়তো আমাদের কোনো কাজে লাগে না। সময়ের সাথে সাথে এগুলো শুধু জায়গা দখল করে, মানসিক চাপ বাড়ায়।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায় হলো অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা বা ডিক্লাটারিং (decluttering)। সম্প্রতি মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা’র ক্ষেত্রে ‘আনন্দ খুঁজে বের করা’র চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় রয়েছে।

আমেরিকার মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মেরি ই. ডজিয়ারের গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেক মানুষের মধ্যে জিনিসপত্র ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ে। এই ক্ষেত্রে, কোনো জিনিস সরিয়ে ফেলার সময় আনন্দ খোঁজার চেয়েও বেশি কাজ করে ব্যক্তি-স্বার্থ, অন্যের প্রতি সাহায্য করার মানসিকতা এবং নিজের মূল্যবোধ।

ড. ডজিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ‘জিনিসপত্র জমানোর অস্বাভাবিক প্রবণতা’ (hoarding disorder) নিয়ে গবেষণা করছেন। তার মতে, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা যখন কোনো জিনিসপত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নেন, তখন তারা আনন্দ বা ভালো লাগার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেন জিনিসটির সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা মূল্যবোধের বিষয়টি।

তাদের মনে হতে পারে, জিনিসটি হয়তো ভবিষ্যতে কাজে লাগবে অথবা এটি তাদের পরিবারের স্মৃতি বহন করে।

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার মা তার বিয়ের শাড়িটি হয়তো এখনো যত্ন করে রেখেছেন। কারণ, এটি তার কাছে একটি বিশেষ স্মৃতিচিহ্ন।

এই শাড়িটি হয়তো এখন আর পরার মতো অবস্থায় নেই, কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এই ধরনের স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে আবেগ এবং যুক্তির মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

ড. ডজিয়ারের পরামর্শ হলো, এই ধরনের ক্ষেত্রে আনন্দের পরিবর্তে নিজের মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া।

তাহলে, জিনিসপত্র কমানোর সঠিক উপায় কী? ড. ডজিয়ারের গবেষণা থেকে জানা যায়, এই ক্ষেত্রে নিজের মূল্যবোধগুলো চিহ্নিত করা সবচেয়ে জরুরি।

এরপর, সেই মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঘর সাজানোর পরিকল্পনা করতে হবে। যেমন, আপনি যদি মনে করেন পরিবার এবং ঐতিহ্য আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে পরিবারের পুরনো কোনো ছবি বা ঠাকুরমা-দাদুর ব্যবহার করা কোনো জিনিস হয়তো আপনার কাছে রাখতে ভালো লাগবে।

আবার, আপনি যদি স্বাস্থ্য এবং সৃজনশীলতাকে বেশি গুরুত্ব দেন, তাহলে স্বাস্থ্যকর রান্নার কোনো রেসিপির বই আপনার জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে।

জিনিসপত্র কমানোর সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে পারেন:

  • নিজের মূল্যবোধ চিহ্নিত করুন: পরিবার, ধর্ম, শিক্ষা, ঐতিহ্য—আপনার জন্য কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা আগে চিহ্নিত করুন।
  • লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আপনার ঘরকে কেমন দেখতে চান, তার একটি পরিষ্কার ধারণা তৈরি করুন। আপনি কি চান আপনার বসার ঘরটি আরও খোলামেলা হোক? নাকি রান্নাঘরের জায়গাটা একটু বাড়াতে চান?
  • মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতি রাখুন: কোনো জিনিস রাখার আগে ভাবুন, সেটি আপনার মূল্যবোধের সঙ্গে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ।
  • অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন: যদি আপনি পরিবারের অন্য কারও জিনিসপত্র কমাতে সাহায্য করেন, তবে তাদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।

ড. ডজিয়ারের গবেষণা থেকে জানা যায়, জিনিসপত্র কমানোর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে কাজ করা উচিত। এতে মানসিক চাপ কম হয় এবং কাজটি সহজ হয়।

পরিশেষে, মনে রাখতে হবে— প্রতিটি মানুষের মূল্যবোধ আলাদা। তাই, অন্যের কথা শুনে নয়, নিজের প্রয়োজন ও ভালো লাগার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এই প্রবন্ধটি মূলত মেরি ই. ডজিয়ারের গবেষণা থেকে নেওয়া হয়েছে, যিনি মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক। লেখাটি The Conversation-এ প্রকাশিত হয়েছিল এবং CNN তা পুনঃপ্রকাশ করেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT