আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানে কনেদের সাজসজ্জা নিয়ে অনেক কথা হয়। বিশেষ করে, মেকআপ করা হবে কিনা, তা নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধা থাকে।
সম্প্রতি, এমন একটি দ্বিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে এক নববধূ তার বিয়েতে মেকআপ না করার সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন। তার বন্ধু, মা এবং বোনেরা সবাই তাকে মেকআপ করার জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু তিনি চান নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে।
নববধূর এই দ্বিধা আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে। বিয়ের মতো একটি বিশেষ দিনে, কনের সাজসজ্জা কেমন হবে, তা নিয়ে পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়।
অনেক সময়, সমাজের প্রচলিত ধারণার কারণে, কনেদের উপর মেকআপ করার জন্য চাপ আসে। তবে, এই কাহিনীর মূল প্রশ্ন হলো, একজন নারী হিসেবে নিজের ইচ্ছাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত?
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিয়ের সাজসজ্জা হওয়া উচিত এমন, যা কনেকে আরও সুন্দর করে তুলবে, তবে তার স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে ছাপিয়ে যাবে না। অনেক কনে আছেন, যারা বিয়ের সাজের জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করেন।
ত্বককে আরও সুন্দর করার জন্য বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকে নানা ধরনের চিকিৎসা শুরু করেন। যদিও এর ফলে মেকআপ সুন্দরভাবে বসে এবং সারাদিন স্থায়ী হয়, তবে এই অতিরিক্ত চেষ্টা সবসময় প্রয়োজনীয় নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, বিয়ের ছবিগুলো আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সবাই চায় তাদের বিয়ের ছবিগুলো যেন পারফেক্ট হয়।
এর ফলে, কনেদের উপর নিজেদের আরও সুন্দর দেখানোর একটা চাপ তৈরি হয়। মেকআপ আর্টিস্টরা বলছেন, এখন অনেক কনে তাদের বিয়ের সাজের ছবি তোলার সময় তাদের নিজস্ব প্রতিচ্ছবি দেখতে চান।
তবে, এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকে যায়। আপনি কি নিজের জন্য সাজছেন, নাকি সমাজের চোখে সুন্দর দেখানোর জন্য? নিজের ভেতরের মানুষটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, নাকি সমাজের চাপিয়ে দেওয়া সৌন্দর্যের ধারণাকে?
বিয়ের মতো একটি বিশেষ দিনে, নিজের অনুভূতিকে প্রাধান্য দেওয়াটা জরুরি। হাসতে, কাঁদতে বা ভালোবাসার মানুষের সাথে মিশে যেতে মেকআপের চিন্তা না করে, স্বাভাবিকভাবে দিনটি উপভোগ করা উচিত।
সুতরাং, মেকআপ করা বা না করা, এটি সম্পূর্ণভাবে কনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যদি কেউ মেকআপ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তবে অবশ্যই করতে পারেন।
আবার, যদি কেউ নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হন, তবে মেকআপ না করার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজের ভালো লাগা এবং মানসিক শান্তির প্রতি মনোযোগ দেওয়া।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান