ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রোববার ভোরে চালানো এই হামলায় কিয়েভের বিভিন্ন আবাসিক ভবনে আঘাত হানে এবং সাতজন আহত হয়েছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তাকাশেঙ্কো জানিয়েছেন, পোডিল জেলায় দুটি বহুতল ভবনে ড্রোন আঘাত হানে এবং সেখানে আগুন ধরে যায়। মেয়র ভিটালি ক্লিৎস্কো জানিয়েছেন, শহরের আরও অন্তত দুটি জেলায় আগুন লেগেছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মানচিত্র অনুসারে, কিয়েভ, এর আশপাশের অঞ্চল এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কিয়েভের মেয়র তার টেলিগ্রাম বার্তায় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, সৌদি আরবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অ্যান্ড্রু পীক এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের মাইকেল এন্টন।
এই আলোচনার পরেই সোমবার রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে মার্কিন প্রতিনিধি দল। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিলেও, তারা একই কক্ষে উপস্থিত থাকবেন না।
ধারণা করা হচ্ছে, জেলেনস্কি শক্তি সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিতে পারেন।
ক্রেমলিন সূত্রে খবর, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে কৃষ্ণ সাগরে নৌ-চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রুশ ও মার্কিন বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করবেন।
শনিবার জেলেনস্কি ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি রুশ হামলার শিকার খারকিভেও যান।
এছাড়াও, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, রুশ বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করার সাত মাস পরেও ইউক্রেনীয় সেনারা সেখানে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রাসনোদার অঞ্চলের কাভকাজস্কায়া শহরে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার পর একটি তেল ডিপোতে আগুন নেভানোর জন্য দমকলকর্মীরা কাজ করছেন।
আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর জন্য চারটি বিশেষ ট্রেন সেখানে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার আগুন লাগার পর থেকে এখনো পর্যন্ত ১,২৫০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে আগুন জ্বলছে।
দমকলকর্মীরা একদিকে যেমন আগুনের বিস্তার রোধ করার চেষ্টা করছেন, তেমনি অন্য সরঞ্জামগুলো ঠান্ডা করারও চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, শুক্রবার একটি ট্যাংকের চাপ কমে যাওয়ায় বিস্ফোরণ ঘটে এবং জ্বলন্ত তেল নির্গত হতে শুরু করে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান