মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি মামলায় তরুণদের করা আপিল গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। এই সিদ্ধান্তের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফেডারেল সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলা একটি আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটলো।
সোমবার আদালত এই আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
২০১৫ সালে ২১ জন শিশু ও কিশোর-কিশোরীর একটি দল এই মামলাটি দায়ের করেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের জ্বালানি নীতি তাদের জীবন, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, সম্মান, শারীরিক অখণ্ডতা এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করেছে।
তারা চেয়েছিল, সরকার যেন জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট মোকাবিলায় আরো জোরালো পদক্ষেপ নেয়।
মামলাটি প্রথমে বিভিন্ন ফেডারেল আদালতে খারিজ হয়ে যায়। আপিল বিভাগের বিচারকরা মূলত মামলাটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের ‘মামলা করার অধিকার’ (standing to sue) আছে কিনা, সেই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেন।
তাদের মতে, আবেদনকারীদের এই অধিকার ছিল না। এরপর বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে উঠলেও, আদালত আবেদনটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি।
ওরেগন-ভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা, ‘আওয়ার চিলড্রেনস ট্রাস্ট’ এই মামলার পেছনে ছিল। তারা চেয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট যেন টেক্সাসের এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর আপিলের রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করে।
ওই আসামীর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থাটি যুক্তি দেখিয়েছিল, কোনো পক্ষের অনুকূলে রায় আসলে যদি সরকারের আচরণে পরিবর্তন নাও আসে, তবুও সেই পক্ষের মামলা করার অধিকার থাকতে পারে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের কাছে লিখিত যুক্তিতে জানায়, এই মামলাটি ‘ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন আদালতগুলোতে মীমাংসাযোগ্য বিষয়গুলোর’ অন্তর্ভুক্ত নয়।
সাধারণত, সুপ্রিম কোর্ট মামলা খারিজ করার কারণ জানায় না। এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি এবং কোনো ভিন্নমতও পাওয়া যায়নি।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের শিকার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এই ধরনের আইনি লড়াইগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন