রূপকথার জগৎ: প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ ‘স্নো হোয়াইট’।
ডিসনি’র নতুন লাইভ-অ্যাকশন চলচ্চিত্র ‘স্নো হোয়াইট’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তেই বিশ্বজুড়ে সিনেমা প্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেও, বক্স অফিসে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি।
উত্তর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তির প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪70 কোটি টাকার সমান।
যদিও এই অঙ্কটি বিশাল, তবে সিনেমাটির নির্মাণ খরচ বিবেচনা করলে, যা প্রায় ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,৯০০ কোটি টাকা), সেই তুলনায় আয় কিছুটা কম হয়েছে বলেই মনে করছেন চলচ্চিত্র সমালোচকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লাসিক এই গল্পের নতুন সংস্করণে প্রত্যাশিত দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে।
এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হলো, সিনেমাটি মুক্তির আগে বিভিন্ন বিতর্ক তৈরি হওয়া।
সিনেমার মুখ্য চরিত্রে কাস্টিং নিয়ে অনেকে আপত্তি তুলেছিলেন।
এছাড়াও, গল্পের কিছু পরিবর্তনও দর্শকদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
তবে, ‘স্নো হোয়াইট’-এর দুর্বল পারফরম্যান্সের পেছনে আরও কিছু কারণ থাকতে পারে।
যেমন, একই ধরনের গল্পের একাধিক সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় দর্শকদের মধ্যে কিছুটা অনাগ্রহ তৈরি হতে পারে।
এছাড়াও, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা এবং সিনেমা হলের টিকিট-এর উচ্চ মূল্য অনেক দর্শককে প্রেক্ষাগৃহ থেকে দূরে রাখছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘স্নো হোয়াইট’-এর এই ফল ডিসনির জন্য একটি সতর্কবার্তা।
কারণ, এর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিন্দ্রেলা’র মতো সিনেমাগুলো মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই অনেক বেশি আয় করেছিল।
উদাহরণস্বরূপ, ‘সিন্দ্রেলা’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে ৯১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে, যেখানে সিনেমাটির নির্মাণ খরচ ছিল ১৩৮.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে, চলচ্চিত্র ব্যবসার ভবিষ্যৎ এখনো উজ্জ্বল বলেই মনে করা হচ্ছে।
খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে যাওয়া ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’র মতো সিনেমাগুলো বক্স অফিসে ভালো ফল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারণ, এই ধরনের সিনেমাগুলো সাধারণত পরিবার এবং শিশুদের আকৃষ্ট করে, যা সিনেমা হলের আয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চলচ্চিত্র ব্যবসার এই উত্থান-পতন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দর্শকদের আগ্রহ বাড়বে এবং সিনেমাগুলো ভালো ব্যবসা করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন