মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের আইনসভায়। অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটলে টাঙানো ট্রাম্পের ছবি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কারণ ট্রাম্প নিজেই ছবিটির সমালোচনা করেছেন।
খবরটি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন। জানা গেছে, রিপাবলিকান দলের নেতারা ট্রাম্পের প্রতিকৃতিটি সরানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
এরপরই ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি ছবি অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। রিপাবলিকানরা এই ছবি তৈরির জন্য ১০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।
ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ছবিটির সমালোচনা করে একে ‘বিকৃত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি ছবিটিকে নিজের ভালো না লাগার কথা জানান এবং একই শিল্পীর আঁকা বারাক ওবামার একটি প্রতিকৃতির প্রশংসা করেন।
ট্রাম্পের মতে, কলোরাডো ক্যাপিটলে টাঙানো ছবিটি ইচ্ছাকৃতভাবে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা তাঁর ভালো লাগে না।
প্রতিকৃতিটি সরানোর সিদ্ধান্তের আগে অনেকেই ছবিটির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। কিছু দর্শক ছবিটির শিল্পী এবং শৈলী নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
অনেকের মতে, ছবিতে ট্রাম্পকে তাঁর আসল চেহারার মতো দেখাচ্ছে না।
কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের সিনেটরের মতে, ট্রাম্পের বর্তমান চেহারার সাথে সঙ্গতি রেখে নতুন একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হবে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্য প্রেসিডেন্টদের প্রতিকৃতির সঙ্গেই ছবিটি স্থাপন করা হয়েছিল।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও আলোচনায় এসেছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিকৃতি এবং শিল্পকর্মের মান নিয়ে বিতর্ক। বিশেষ করে, যখন কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁর প্রতিকৃতি নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তখন তা জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন