বিখ্যাত মালীয় সঙ্গীতশিল্পী আমাদু বাগায়োকো-এর প্রয়াণ, বয়স ছিল ৭০ বছর।
বিশ্ব সঙ্গীতের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন। মালির জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও গিটারবাদক আমাদু বাগায়োকো আর নেই।
শুক্রবার বামাকোতে, নিজের জন্মস্থানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
আমাদু ও তাঁর স্ত্রী মারিয়াম দুম্বিয়ার যুগলবন্দী ‘আমাদু এন্ড মারিয়াম’ বিশ্বজুড়ে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে এক পরিচিত নাম। এই জুটির সুরে ছিল আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের সঙ্গে রক, ব্লুজ এবং পপ-এর এক অসাধারণ মিশ্রণ, যা তাঁদের এনে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতি।
ছোটবেলায় চোখের দৃষ্টি হারানো আমাদু, ১৫ বছর বয়সে জন্মগতভাবে চোখের সমস্যার কারণে দৃষ্টিহীন হয়ে যান। এরপর তিনি মালির ‘ইনস্টিটিউট ফর দ্য ইয়ং ব্লাইন্ড’-এ সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন।
সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় মারিয়াম দুম্বিয়ার। ১৯৮০ সালে তাঁরা ‘মালিস ব্লাইন্ড কাপল’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন।
তাঁদের সঙ্গীত শীঘ্রই স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও পরিচিতি পায়।
আমাদু ও মারিয়ামের সঙ্গীত বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে। তাঁদের ‘দিমাশ আ বামাকো’ (Dimanche à Bamako) অ্যালবামের জন্য ২০০৫ সালে ফ্রান্সের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের সমতুল্য ‘ভিকতোয়ার দে লা মুজিক’ (Victoire de la Musique) পুরস্কার পান তাঁরা।
২০১৩ সালেও ‘ফোলিলা’ (Folila) অ্যালবামের জন্য একই পুরস্কার জেতেন। তাছাড়া, ২০০৬ সালে বিবিসি রেডিও অ্যাওয়ার্ডস ফর ওয়ার্ল্ড মিউজিক-এও সম্মানিত হন এই জুটি।
২০০৮ সালে তাঁদের ‘ওয়েলকাম টু মালি’ অ্যালবামটি গ্র্যামির সেরা সমসাময়িক ওয়ার্ল্ড মিউজিক অ্যালবামের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
প্যারিস ২০২৪ প্যারালিম্পিক গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানে মারিয়াম দুম্বিয়ার সঙ্গে আমাদুর শেষ পরিবেশনা ছিল সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত।
আমাদু বাগায়োকো তাঁর স্ত্রী এবং সঙ্গীতশিল্পী পুত্র স্যাম বাগায়োকোকে রেখে গেছেন। তাঁর প্রয়াণে বিশ্ব সঙ্গীত জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস