বার্সেলোনা: পর্যটকদের ভিড় আর স্থানীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধন
ইউরোপের অন্যতম সুন্দর শহর বার্সেলোনা। একদিকে যেমন এর স্থাপত্য, সংস্কৃতি আর খাবারের আকর্ষণ পর্যটকদের টানে, তেমনই অতিরিক্ত পর্যটকের আনাগোনা স্থানীয় জীবনযাত্রায় ফেলেছে প্রভাব। সম্প্রতি, পর্যটকদের ভিড় আর তার ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। এই প্রেক্ষাপটে, বার্সেলোনার এমন কিছু দিক তুলে ধরা যায়, যা একইসঙ্গে উপভোগ্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
বার্সেলোনার কেন্দ্রে, বিশেষ করে লাস রামব্লাস-এর মতো জায়গাগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। অনেক দোকানে স্যুভেনিয়ারের ছড়াছড়ি, যা শহরের আসল রূপ থেকে অনেক দূরে। তবে, শহরের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে অন্য বার্সেলোনা। সান্ত আন্তোনি (Sant Antoni)-র মতো এলাকায় গেলে এখনো সেই পুরনো, শান্ত বার্সেলোনার দেখা মেলে।
শহর কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের চাপ কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘সুপারিলাস’ তৈরি করা। সুপারিলাস হলো এমন এলাকা, যেখানে গাড়ি চলাচল সীমিত এবং পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের জন্য জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা একটু শান্তিতে শ্বাস নিতে পারেন। এছাড়াও, সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে এয়ারবিএনবি-র মতো স্বল্পমেয়াদী ভাড়ার বাসস্থানগুলো বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে, যা বাসস্থান সংকট কমাতে সাহায্য করবে।
বার্সেলোনার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে হলে, শহরের স্থানীয় বাজারগুলোর বিকল্প নেই। মারকাত দে সান্ত আন্তোনি (Mercat de Sant Antoni)-র মতো বাজারে গেলে স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা দেখা যায়। তাছাড়া, বার্সেলোনার বিশেষ খাবার যেমন – কাতালান ভার্মুথ (Catalan vermut) আর স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি নানা পদ উপভোগ করা যেতে পারে।
পর্যটকদের জন্য কিছু পরামর্শ:
বার্সেলোনার স্থাপত্যশৈলীও অসাধারণ। আন্তোনি গউদির (Antoni Gaudí) ডিজাইন করা বিভিন্ন স্থাপনা, যেমন – সাগ্রাদা ফ্যামিলিয়া (Sagrada Família) এবং কাসা বাতলোর (Casa Batlló) -এর মতো স্থানগুলো পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
বার্সেলোনা ভ্রমণে গেলে একদিকে যেমন গউদির স্থাপত্যের মাধুর্য উপভোগ করা যেতে পারে, তেমনই স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে শহরের আসল রূপটি অনুভব করা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার।