বিবাহিত জীবনে শান্তি বজায় রাখতে আজকাল অনেকে ব্যক্তিগত পরিসরের দিকে নজর দিচ্ছেন। ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর মতোই, বাথরুমও এখন দাম্পত্য কলহ এড়ানোর নতুন ঠিকানা হয়ে উঠছে।
বিষয়টি হলো, বাথরুম ডিভোর্স। যেখানে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বাথরুম ব্যবহার করেন, নিজেদের মতো করে।
ব্যাপারটা হয়তো অনেকের কাছে নতুন, তবে উন্নত বিশ্বে এর চল বাড়ছে। এর মূল কারণ হলো, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত স্থান ও অভ্যাসের স্বাধীনতা।
বাথরুম ডিভোর্সের ধারণা এসেছে মূলত ঘুমের ডিভোর্স থেকে। অনেক দম্পতি ঘুমের সময় একে অপরের থেকে আলাদা থাকতে পছন্দ করেন, যাতে ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে এবং দুজনেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান।
বাথরুমের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কারও হয়তো সকালে বাথরুমে বেশি সময় লাগে, কারও বাথরুম ব্যবহারের অভ্যাস ভিন্ন। এমন পরিস্থিতিতে আলাদা বাথরুম থাকলে কারো সঙ্গেই কারো কোনো সমস্যা হয় না।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ডেবি উইনার তাঁর বাড়িতে বাথরুম তৈরি করতে এক লাখ ডলারের বেশি খরচ করেছেন। সেখানে তিনি তাঁর ও তাঁর স্বামীর জন্য আলাদা বেসিন ও টয়লেট তৈরি করেছেন।
ডেবি’র মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্য ও অভ্যাসে পরিবর্তন আসে। তাঁর স্বামীর বাথরুম ব্যবহারের কিছু বিষয় তাঁর জন্য সমস্যা তৈরি করছিল।
তাই তিনি এই ব্যবস্থা নিয়েছেন। ডেবি’র স্বামী জিম উইনবার্গার অবশ্য বলেছেন, বাথরুম তাঁর জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়।
আলাদা বাথরুম বানানোর খরচ অনেক বেশি। এই কারণে, এই ধরনের ব্যবস্থা সবার জন্য সহজ নাও হতে পারে।
তবে এর মূল ধারণা হলো, দাম্পত্য জীবনে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং ব্যক্তিগত স্থানকে গুরুত্ব দেওয়া।
বাথরুম ডিভোর্স-এর ধারণা এখনো খুব নতুন। তাই এর নিয়মকানুনও এখনো তৈরি হচ্ছে।
তবে এটি স্পষ্ট যে, ভালোবাসার সম্পর্কে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও স্বাচ্ছন্দ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পরিবর্তনের কারণ হলো, মানুষের জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তন এসেছে এবং সম্পর্কের সংজ্ঞাগুলোও নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান