বর্তমান যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি শিশুদের মনে নানা প্রশ্ন জন্ম দেয়। কৌতূহলী শিশুরা জানতে চায়, কীভাবে মানুষ ফোনের প্রতি আসক্ত হয়, অথবা জীবকোষ কীভাবে বিভক্ত হয়ে নতুন কোষ তৈরি করে।
শিশুদের এই জিজ্ঞাসু মনকে উৎসাহিত করতে একটি কুইজের ধারণা নিয়ে এসেছেন মলি ওল্ডফিল্ড। ‘এভরিথিং আন্ডার দ্য সান’ নামের একটি জনপ্রিয় পডকাস্ট এবং বইয়ের সিরিজে শিশুদের জিজ্ঞাস্য নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।
সম্প্রতি, কুইজ আকারে এই বিষয়গুলো আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে যে পরিবর্তনগুলো আসে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে কুইজে।
কিভাবে মানুষ ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়, কেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে – এই বিষয়গুলো শিশুদের উপযোগী করে সহজ ভাষায় বোঝানো হয়েছে। এই কুইজের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয়, যাতে তারা প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দিক সম্পর্কে জানতে পারে।
বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজে জীবকোষ বিভাজন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষের শরীর অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত। এই কোষগুলো কীভাবে বৃদ্ধি পায় এবং নতুন কোষ তৈরি হয়, তা কুইজের মাধ্যমে শিশুদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো শিশুদের কাছে সহজ ও মজাদার করে তোলার এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তাদের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং তারা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হবে।
মলি ওল্ডফিল্ডের এই কুইজ শিশুদের মনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে সহায়তা করে। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে শিশুদের মধ্যে জিজ্ঞাসু মনোভাব তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।
শিশুদের মনে প্রশ্ন জাগানো এবং তাদের সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করতে পারলে, তারা নতুন কিছু শিখতে আরও আগ্রহী হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান