নতুন পোশাকে সাজার শখ? পুরনো পোশাক দিয়েই বাজিমাৎ!
পোশাকের জগতে নতুনত্ব আনতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু সবসময় নতুন জামাকাপড় কেনাটা বেশ খরচসাপেক্ষ।
তাই, নিজের পুরনো পোশাকগুলো দিয়েই কীভাবে একটু ভিন্নতা আনা যায়, সেই বিষয়ে কিছু পরামর্শ নিয়ে এসেছি।
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে, আলমারিতে থাকা পোশাক দিয়েই আপনি পেতে পারেন নতুন লুক।
আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো:
১. ওয়ার্ডরobe-এর অডিট:
প্রথমেই আপনার আলমারিটা গুছিয়ে নিন।
অপ্রয়োজনীয় পোশাক সরিয়ে ফেলুন।
হয়তো এমন অনেক পোশাক আছে যা আপনি দীর্ঘদিন পরেননি।
সেগুলোকে আলাদা করে ফেলুন।
হয়তো সেগুলো অন্য কাউকে দান করে দিতে পারেন অথবা বিক্রি করে দিতে পারেন।
এতে আপনার আলমারি যেমন পরিষ্কার হবে, তেমনি পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও আপনি সুবিধা পাবেন।
২. ঋতু পরিবর্তনের উদযাপন:
ঋতু পরিবর্তনের সময় পোশাকের স্টাইলও বদলায়।
তাই, এই সময়ে আপনার পোশাকের সংগ্রহও পরিবর্তন করুন।
গরমের পোশাক তুলে শীতের পোশাক বের করুন।
এতে পোশাক খুঁজে পেতে সুবিধা হবে এবং পুরোনো পোশাকের প্রতি আপনার আগ্রহও বাড়বে।
৩. বেশি দিনের সঙ্গী নয়:
যদি কোনো পোশাক ১৮ মাস পরেও পরা না হয়, তবে সেটি সরিয়ে ফেলার কথা ভাবুন।
এক বছর পরলে, আপনি বুঝতে পারবেন সেই পোশাকটি আপনার পছন্দের তালিকায় আছে কিনা।
পোশাক পরার ক্ষেত্রে একটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
পোশাক আলমারিতে রাখার সময় হ্যাঙ্গারটি উল্টো দিকে রাখুন।
পোশাকটি পরার পর হ্যাঙ্গারটি ঘুরিয়ে দিন।
এতে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন পোশাকগুলো পরা হয়নি।
৪. সেরা পোশাকগুলো খুঁজে বের করুন:
আপনার সবচেয়ে প্রিয় পোশাকগুলো চিহ্নিত করুন।
যে পোশাকগুলো পরলে আপনি আত্মবিশ্বাসী অনুভব করেন, যে পোশাকগুলো পরে আপনি সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পান, সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন।
এই পোশাকগুলো আপনার স্টাইলের মূল ভিত্তি তৈরি করতে পারে।
৫. পোশাকের মিশ্রণ:
একঘেয়েমি কাটাতে পোশাকের নতুন মিশ্রণ তৈরি করুন।
একটি স্কার্ট বা শার্টের সঙ্গে অন্য কোনো পোশাকের লেয়ারিং করতে পারেন।
যেমন, একটি সাধারণ টি-শার্টের সাথে একটি ব্লেজার পরলে, তা দারুণ স্মার্ট লুক দেয়।
৬. ব্যক্তিত্ব যোগ করুন:
ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে কিছু আকর্ষণীয় অনুষঙ্গ যোগ করে আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলুন।
একটি কোট বা অন্য কোনো ব্যতিক্রমী পোশাক আপনার সাজে ভিন্নতা আনতে পারে।
৭. “ভুল” জুতো:
পোশাকের সঙ্গে “ভুল” জুতো পরার ধারণাটি বেশ জনপ্রিয়।
একটি সাধারণ পোশাকের সঙ্গে একটু ভিন্ন ধরনের, যেমন – কোনো ফরমাল পোশাকের সাথে স্নিকার্স পরলে, তা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
৮. পছন্দের পোশাক:
আপনার পছন্দের পোশাক বারবার পরতে দ্বিধা বোধ করবেন না।
পছন্দের পোশাকগুলো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরুন।
৯. ট্রেন্ড অনুসরণ:
পুরুষদের জন্য, ব্লেজার বা টাইয়ের মতো পোশাক এখন বেশ জনপ্রিয়।
এছাড়া, স্কার্ফ বা অন্য কোনো অনুষঙ্গ ব্যবহার করে আপনি আপনার পোশাকে ভিন্নতা আনতে পারেন।
১০. ছোটখাটো পরিবর্তন:
পোশাকের সাধারণ কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি আপনার সাজে ভিন্নতা আনতে পারেন।
যেমন, শার্টের হাতা গুটিয়ে বা টপস-এর কলার তুলে পরা।
১১. উজ্জ্বল মোজা:
পুরুষদের জন্য, উজ্জ্বল রঙের মোজা পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
যা আপনার সাজে ভিন্নতা যোগ করবে।
১২. দ্বিতীয় মতামত:
আপনার পোশাক নিয়ে বন্ধু বা পরিচিতদের পরামর্শ নিন।
তারা হয়তো আপনার পোশাকের নতুন দিক খুঁজে বের করতে সাহায্য করতে পারে।
১৩. পোশাকের যত্ন:
পোশাকের সঠিক যত্ন নিন।
কাপড়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিষ্কার করুন এবং ইস্ত্রি করুন।
১৪. মেরামত করুন:
পোশাক ছিঁড়ে গেলে বা কোনো সমস্যা হলে, তা সারিয়ে নিন।
আজকাল, সেলাই করার চল বেড়েছে, তাই পুরোনো পোশাক সারিয়ে আপনি স্টাইলিশও থাকতে পারেন।
১৫. পরিবর্তন করুন:
পোশাকের মাপ ঠিক না হলে, দর্জিকে দিয়ে তা ঠিক করিয়ে নিন।
১৬. পরীক্ষা করুন:
যদি কোনো পোশাক পরতে ভালো না লাগে, তবে সেটিকে অন্যভাবে পরার চেষ্টা করুন।
১৭. অনুষঙ্গ:
স্কার্ফ, বেল্ট বা ঘড়ির মতো অনুষঙ্গ ব্যবহার করে আপনার সাজে ভিন্নতা আনতে পারেন।
১৮. নিজের স্টাইল:
আপনার তিনটি পছন্দের শব্দ নির্বাচন করুন, যা আপনার স্টাইলকে বর্ণনা করে।
১৯. পরিবর্তনের স্বীকৃতি:
ফ্যাশন পরিবর্তনশীল।
আপনার বর্তমান রুচি এবং জীবনযাত্রার সাথে মানানসই পোশাক নির্বাচন করুন।
২০. অদল-বদল অথবা ভাড়া:
পোশাক অদল-বদল করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন অথবা পোশাক ভাড়াও নিতে পারেন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করে, আপনি আপনার পুরোনো পোশাক দিয়েই নতুন রূপে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন।
তাহলে, আর দেরি কেন?
আজই শুরু করুন আপনার পোশাকের নতুন যাত্রা!
তথ্য সূত্র: The Guardian