যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কতিপয় ইউক্রেনীয় নাগরিকের কাছে সম্প্রতি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Department of Homeland Security বা DHS) থেকে একটি ই-মেইল আসে, যেখানে তাদেরকে দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই অপ্রত্যাশিত নির্দেশে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানবিক প্যারোলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা ওইসব ইউক্রেনীয় নাগরিক।
তবে, কয়েকদিনের মধ্যেই মন্ত্রণালয় জানায়, ভুলবশত এই ই-মেইল পাঠানো হয়েছে এবং তাদের প্যারোলের শর্তাবলীতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
জানা যায়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, বাইডেন প্রশাসনের আমলে ‘ইউক্রেনের জন্য ঐক্য’ (Uniting for Ukraine) নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে মানবিক কারণে অনেক ইউক্রেনীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায়, কোনো মার্কিন নাগরিক বা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় ইউক্রেনীয়রা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারতেন।
তাদের মানবিক প্যারোলের ভিত্তিতে এখানে বসবাসের অনুমতি ছিল এবং কাজের সুযোগও দেওয়া হতো।
কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসেবে, বাইডেন প্রশাসনের আমলে চালু হওয়া কিছু মানবিক প্যারোল প্রোগ্রামকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এমনকি কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশ থেকে আসা পাঁচ লক্ষাধিক অভিবাসীর আইনি অধিকারও বাতিল করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভুল করে পাঠানো ওই ই-মেইলের কারণে ইউক্রেনীয়দের মধ্যে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। মন্ত্রণালয় আরও নিশ্চিত করেছে যে, ‘ইউক্রেনের জন্য ঐক্য’ প্রোগ্রামটি এখনো বহাল আছে এবং এই মুহূর্তে তা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
তবে, জানুয়ারিতে এই প্রোগ্রামের অধীনে নতুন করে লোক নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা ইউক্রেনীয় নাগরিক এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানতে চান, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনীয়রা ভবিষ্যতে এখানে থাকতে পারবেন কিনা।
এই ধরনের ঘটনা, অভিবাসন বিষয়ক নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের উপর প্রভাব ফেলে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন