টেসলার শেয়ারের দামে বড় পতন, উদ্বিগ্ন বিশ্লেষকরা।
ওয়াল স্ট্রিটে টেসলার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখন কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির এই প্রস্তুতকারক সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হয়ে উঠছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
সম্প্রতি, টেসলার শেয়ারের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছেন এমন কিছু বিশ্লেষক, যারা একসময় এই কোম্পানির সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিলেন।
বিশ্লেষকদের এই পরিবর্তনের মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা।
ডয়চে ব্যাংক, আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটস, স্টিফেল নিকোলাস এবং পাইপার স্যান্ডলারের মতো খ্যাতনামা বিনিয়োগ সংস্থাগুলো তাদের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। এমনকি ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের ড্যান আইভস, যিনি একসময় টেসলার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী ছিলেন, তিনিও তার ১২ মাসের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৩ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন, যা শেয়ারের দামে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
শেয়ারের এই দরপতনের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা ইলন মাস্কের কিছু বিতর্কিত মন্তব্য এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে দায়ী করছেন। বিশেষ করে, চীনের বাজারে টেসলার ব্যবসা সম্প্রসারণে এই বিষয়গুলো বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
চীন বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার এবং টেসলার জন্য এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চীনে টেসলার বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাস্কের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে টেসলার ব্র্যান্ডের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
অন্যদিকে যেমন টেসলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, তেমনই বিশ্বজুড়ে এর বিক্রি কমছে।
তবে, সব বিশ্লেষকই যে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন, তা নয়। অনেক বিশেষজ্ঞ এখনও মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে টেসলার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও স্বল্প মেয়াদে তারা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।
শেয়ার বাজারের এই অস্থিরতার মধ্যে, বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকরা একদিকে যেমন বিক্রি করার পরামর্শ দিচ্ছেন, তেমনি কেউ কেউ এখনো এই শেয়ার ধরে রাখার কথা বলছেন।
বর্তমানে, টেসলার শেয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বাজারের এই পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
তথ্য সূত্র: সিএনএন