যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী থেকে কোভিড-১৯ টিকা নিতে অস্বীকার করায় বরখাস্ত হওয়া সেনাদের মধ্যে পুনরায় চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে খুবই কম। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাদের আবার বাহিনীতে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি হলেও, প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া মেলেনি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮,২০০ জন সেনা সদস্যকে টিকা নিতে অস্বীকার করার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫০ জন পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কর্মকর্তাদের মতে, এই সংখ্যাটি মোট বরখাস্ত হওয়া সেনার মাত্র ৮ শতাংশ। সামরিক কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে হয়তো সামান্য কিছু আগ্রহ বেড়েছে, কারণ তিনি তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের প্রস্তাব দিয়েছেন।
মার্কিন সেনাবাহিনী এবং মেরিন কোর বরখাস্ত হওয়া সদস্যদের কাছে ইমেইল, টেক্সট মেসেজ এবং ফোন কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করছে। নেভি এবং বিমান বাহিনীও খুব শীঘ্রই একই প্রক্রিয়া শুরু করবে। তবে এখনো পর্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করা সেনাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়নি। কারণ, তারা কেবল পুনরায় যোগদানের আগ্রহ দেখিয়েছেন, এখনো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাননি। তাদের পুনরায় নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সব আইনি এবং নৈতিক মানদণ্ড, শারীরিক সক্ষমতা এবং কমপক্ষে দুই বছরের জন্য পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ভ্যাকসিন নীতিকে ভুল আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, এর কারণে সামরিক বাহিনী “সেরা কিছু” সদস্যকে হারিয়েছে। ক্ষমতায় আসার এক সপ্তাহ পরেই তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে বরখাস্ত হওয়া সেনাদের পুনরায় নিয়োগের ঘোষণা দেন এবং বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন।
ট্রাম্পের নির্দেশনায়, যারা ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করার কারণে বরখাস্ত হয়েছিলেন, তারা পুনরায় যোগদান করতে পারবেন এবং বকেয়া বেতনও পাবেন। তবে যারা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে প্রমাণ করতে হবে যে তারা ভ্যাকসিনের কারণেই পদত্যাগ করেছেন। সেক্ষেত্রে তারা পুনরায় যোগ দিতে পারলেও বকেয়া বেতন পাবেন না।
আগে, ২০২১ সালের আগস্টে পেন্টাগন সব সামরিক সদস্যের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করে। তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এই নিয়ম বাতিল করা হয়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস