ঘুম ভালো করার এক নতুন উপায়: ‘স্লিপম্যাক্সিং’ (Sleepmaxxing) নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত
ঘুম মানুষের শরীর ও মনের জন্য খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তোলে। সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘স্লিপম্যাক্সিং’ (Sleepmaxxing) নামে একটি নতুন ধারণা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে, যেখানে ঘুমের গুণগত মান উন্নত করার জন্য বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত নিচে তুলে ধরা হলো।
‘স্লিপম্যাক্সিং’ আসলে কী?
‘স্লিপম্যাক্সিং’ হলো ঘুমের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া। এর মধ্যে ঘুমের জন্য সহায়ক বিভিন্ন কৌশল, পণ্য বা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ধারণা মূলত এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে TikTok থেকে। অনেকে তাদের ঘুমের রুটিনে কিছু নতুন বিষয় যোগ করছেন, যেমন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ, বিশেষ কিছু খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ ব্যবহার করা, অথবা ত্বকের যত্নের বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমের গুরুত্ব আগে মানুষ সেভাবে দিতো না। কিন্তু এখন মানুষ বুঝতে পারছে, ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। ঘুমের সঠিক ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। তবে, ‘স্লিপম্যাক্সিং’-এর কিছু কৌশল সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এর কিছু পদ্ধতি হয়তো উপকারী, আবার কিছু ক্ষতিকরও হতে পারে।
ঘুম ভালো করার কিছু পরীক্ষিত উপায়:
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের জন্য কিছু সাধারণ ও পরীক্ষিত পদ্ধতির কথা বলে আসছেন। যেমন:
ঘরের তাপমাত্রা ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাপমাত্রা ১৫.৬ থেকে ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে ভালো ঘুম হয়। স্ক্রিনের নীল আলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদনে বাধা দেয়। ঘুমের আগে অ্যালকোহল পান করলে রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত ঘুমানোর সময় শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে তোলে, যা সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে।
‘স্লিপম্যাক্সিং’-এর কিছু কৌশল:
স্লিপম্যাক্সিংয়ের কিছু ঝুঁকির দিক:
অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়ে ঘুমের উন্নতির চেষ্টা করলে তা মানসিক চাপ বাড়াতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমনকি, অতিরিক্ত ঘুমের চেষ্টা করতে গিয়ে কেউ কেউ ‘অর্থোসোমনিয়া’ (orthosomnia) নামক একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।
করণীয়:
যদি ঘুমের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো সমস্যার সমাধানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা করানো উচিত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন