1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 16, 2025 7:42 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
মার্কিন বোমা হামলায় ইয়েমেনে শোকের মাতম, নিহত ১৯! মাথা ফাটাফাটির পরও রেহাই! বিচারব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন টাউনসেন্ড যুদ্ধকালীন আইনের অপব্যবহার? ট্রাম্পের বিতাড়ন আটকে দিল আদালত! আতঙ্ক! র‍্যানসমওয়্যার মেডুসার হানা, বাঁচতে কী করবেন? ওয়েলসের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী জয়, লিয়ন্সে জায়গা পেতে পারেন কোন খেলোয়াড়রা? ভয়েস অফ আমেরিকার কণ্ঠ স্তব্ধ! ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তায় সংবাদ মাধ্যমটি এলোন মাস্কের বিতর্কিত ভূমিকার প্রতিবাদে রাস্তায় নামল জনতা! নেটফ্লিক্সের ‘মিথ্যাচারে’ ক্ষোভ, মুখ খুললেন ল্যান্ডো নরিস! যুদ্ধকালীন আইনের আশ্রয় ট্রাম্পের! ৫ ভেনেজুয়েলার নাগরিককে বিতাড়িত করার নির্দেশ গুরুতর অসুস্থ পোপের সুস্থতার লক্ষণ, চলছে গুরুত্বপূর্ণ কাজ!

ঘুম ভালো করার উপায়: সোশ্যাল মিডিয়ার এই ট্রেন্ড কি স্বাস্থ্যকর?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Sunday, March 9, 2025,

ঘুম ভালো করার এক নতুন উপায়: ‘স্লিপম্যাক্সিং’ (Sleepmaxxing) নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত

ঘুম মানুষের শরীর ও মনের জন্য খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তোলে। সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘স্লিপম্যাক্সিং’ (Sleepmaxxing) নামে একটি নতুন ধারণা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে, যেখানে ঘুমের গুণগত মান উন্নত করার জন্য বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত নিচে তুলে ধরা হলো।

‘স্লিপম্যাক্সিং’ আসলে কী?

‘স্লিপম্যাক্সিং’ হলো ঘুমের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া। এর মধ্যে ঘুমের জন্য সহায়ক বিভিন্ন কৌশল, পণ্য বা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ধারণা মূলত এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে TikTok থেকে। অনেকে তাদের ঘুমের রুটিনে কিছু নতুন বিষয় যোগ করছেন, যেমন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ, বিশেষ কিছু খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ ব্যবহার করা, অথবা ত্বকের যত্নের বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমের গুরুত্ব আগে মানুষ সেভাবে দিতো না। কিন্তু এখন মানুষ বুঝতে পারছে, ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। ঘুমের সঠিক ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। তবে, ‘স্লিপম্যাক্সিং’-এর কিছু কৌশল সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এর কিছু পদ্ধতি হয়তো উপকারী, আবার কিছু ক্ষতিকরও হতে পারে।

ঘুম ভালো করার কিছু পরীক্ষিত উপায়:

বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের জন্য কিছু সাধারণ ও পরীক্ষিত পদ্ধতির কথা বলে আসছেন। যেমন:

  • ঠান্ডা, অন্ধকার ও শান্ত ঘরে ঘুমানো।
  • ঘুমানোর আগে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার সীমিত করা, বিশেষ করে স্ক্রিনের আলো থেকে দূরে থাকা।
  • ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যালকোহল বা ক্যাফিন জাতীয় পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকা।
  • নিয়মিত ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময় মেনে চলা।

ঘরের তাপমাত্রা ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাপমাত্রা ১৫.৬ থেকে ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে ভালো ঘুম হয়। স্ক্রিনের নীল আলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদনে বাধা দেয়। ঘুমের আগে অ্যালকোহল পান করলে রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত ঘুমানোর সময় শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে তোলে, যা সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে।

‘স্লিপম্যাক্সিং’-এর কিছু কৌশল:

  • ঘুম ট্র্যাকিং অ্যাপস: ঘুমের বিভিন্ন বিষয় নিরীক্ষণের জন্য এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করা হয়। তবে, অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘুমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
  • ভারী কম্বল (Weighted Blankets): কিছু মানুষের জন্য এটি ঘুমের সময় আরামদায়ক অনুভূতি দিতে পারে এবং ঘুমের মান উন্নত করতে সহায়ক।
  • লাল আলো (Red Light): ঘুমের ওপর এর প্রভাব নিয়ে কিছু গবেষণা রয়েছে। তবে, নীল আলোর চেয়ে এটি মেলাটোনিন উৎপাদনে কম বাধা দেয়。
  • সাপ্লিমেন্ট: মেলাটোনিন ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো সাপ্লিমেন্ট ঘুমের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে, এগুলো সব সময় প্রয়োজনীয় নয় এবং কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
  • কিউই ফল: কিউই ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সেরোটোনিন থাকে, যা ঘুমের সহায়ক হতে পারে।
  • মুখ টেপ করা (Mouth Taping): নাক বন্ধ থাকলে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার কারণে ঘুমের সময় মুখ টেপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে, এটি স্লিপ অ্যাপনিয়া (sleep apnea) রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
  • নাক প্রসারক (Nostril Expanders): যাদের নাক বন্ধ থাকার সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি সহায়ক হতে পারে।

স্লিপম্যাক্সিংয়ের কিছু ঝুঁকির দিক:

অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়ে ঘুমের উন্নতির চেষ্টা করলে তা মানসিক চাপ বাড়াতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমনকি, অতিরিক্ত ঘুমের চেষ্টা করতে গিয়ে কেউ কেউ ‘অর্থোসোমনিয়া’ (orthosomnia) নামক একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।

করণীয়:

যদি ঘুমের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো সমস্যার সমাধানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা করানো উচিত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT