প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) নতুন অফসাইড প্রযুক্তির ব্যবহার আবারও পিছিয়ে গেল। সম্প্রতি একটি ম্যাচে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ‘ভিএআর’-এর (VAR) দীর্ঘ সময় নেওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মাঠের খেলা আরও দ্রুত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট হলো এফএ কাপ। এই টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে, বোর্নমাউথ এবং উলভসের মধ্যেকার খেলায় ‘ভিএআর’-এর সিদ্ধান্তের জন্য প্রায় আট মিনিট অপেক্ষা করতে হয়।
যা ফুটবল ইতিহাসে ‘ভিএআর’-এর সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষার ক্ষেত্রে একটি রেকর্ড। এর আগে, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড এবং অ্যাস্টন ভিলার মধ্যকার একটি ম্যাচে ‘ভিএআর’ নিতে সময় লেগেছিল ৫ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড।
মূলত, সেমি-অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি (Semi-Automated Offside Technology – SAOT) ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এফএ কাপের ওই ম্যাচে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
‘এসএওটি’ প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য হলো অফসাইডের মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে নেওয়া। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অবস্থান স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় কমিয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
প্রথমে এই প্রযুক্তি গত অক্টোবরে প্রিমিয়ার লিগে চালু করার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার সময় এর নির্ভুলতা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।
পরে, চলতি মাসের আন্তর্জাতিক বিরতির পর এটি চালুর পরিকল্পনা করা হলেও, এফএ কাপের একটি ম্যাচে প্রযুক্তিটি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না করায় সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
প্রিমিয়ার লিগের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন করে এই প্রযুক্তি চালুর বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। তবে, কিছু ক্লাব এখনো মনে করছে, মৌসুমের শেষের দিকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা উচিত হবে না।
ভিএআর নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। মাঠের খেলাতেও এর প্রভাব নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।
অনেক সময় ‘ভিএআর’-এর সিদ্ধান্তের জন্য খেলা বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে, যা দর্শকদের মধ্যে বিরক্তির কারণ হয়। নতুন অফসাইড প্রযুক্তি চালু হলে এই সমস্যাগুলো আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান